প্রতিনিধি ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৩:৫৫:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।দেশের কোন কোন আদালতের ভেতরে (অধস্তন আদালতের এজলাস কক্ষ) লোহার খাঁচা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।এ বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আইনসচিবকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।
অধস্তন আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে ১০ আইনজীবী গত ২৩ জানুয়ারি ওই রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন,আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আইনসচিব,জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ওই ১০ আইনজীবী।নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়,তা না হলে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।নোটিশের জবাব না পেয়ে তাঁরা রিটটি করেন।
১০ আইনজীবী হলেন জি এম মুজাহিদুর রহমান,মোহাম্মদ নোয়াব আলী,সাদ্দাম হোসেন,আব্দুল্লাহ সাদিক,মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম,মেসবাহ উদ্দিন,মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন,দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না।বর্তমানে ৮৪টি আদালতে এ ধরনের খাঁচা বিদ্যমান,যার মধ্যে ৭৪টি ঢাকায় অবস্থিত।এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫ (৫)–এ বলা আছে কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ করা যাবে না;অথচ এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।মূলত এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ (৩১, ৩২ ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ) অমান্য করে আদালতের ভেতর লোহার খাঁচা বসানোর কার্যক্রম কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না,রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক পুনরায় প্রতিস্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না,তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।আইন ও বিচার বিভাগের সচিব,জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।