অপরাধ-আইন-আদালত

ত্রিশালে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

  প্রতিনিধি ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:২১:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ত্রিশাল প্রতিদিন।।ময়মনসিংহ ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ভাটিদাসপাড়া এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

বাদী মোঃ চান মিয়া বলেন,আমার মেয়ে ত্রিশাল থানাধীন ধানীখোলা ভাটিলাসপাড়া তাহার নানার বাড়িতে থাকিয়া ধানীখোলা পাজালারচর আবুল মুনসুর মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করে।বেশ কিছু দিন যাবৎ স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিবাদী আরিফুল ইসলাম আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়া উত্যক্ত করিয়া আসিতেছে।

অনুমান ৬-৭মাস পূর্বে উল্লেখিত বিবাদী তাহার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়।কিন্তু আমার মেয়ে অপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক এবং বিবাদী আরিফুল ইসলাম বিবাহিত বিধায় আমরা উক্ত বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হইয়া বিয়ের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করিয়া দেই।

এরপর হইতে বিবাদী আরিফুল ইসলাম আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হইয়া আমার মেয়েকে আরো বেশী উত্যক্ত করিতে থাকে। এক পর্যায়ে উক্তরূপ উত্যক্তের বিষয়টি আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবহিত করি এতে বিবাদী আরিফুল ইসলাম আমার মেয়েকে যেকোন মূল্যে জোরপূর্বক অপহরন করিয়া নিবে মর্মে এলাকায় বলাবলি করিতে থাকে।

১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হইয়া ধানীখোলা ভাটিদাসপাড়া নতুন বাজারগামী পাকা রাস্তায় পৌঁছা মাত্রই বিবাদী আরিফুল ইসলাম আমার মেয়েকে পিছন দিক হইতে মুখ চাপিয়া ধরিয়া টানা হেছড়া করিয়া অজ্ঞাত নামা সিএনজি গাড়িতে উঠাইয়।জোর অপহরন করিয়া পূর্ব দিকে নিয়া চলিয়া যায়।

বিবাদী আরিফুল ইসলাম আমার মেয়েকে জোর পূর্বক অপহরন করিয়া তাহার হেফাজতে আটক রাখিয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারন করে। আরিফুল ইসলাম ও তাঁর সাথে আরও দুইজন মিলে একাজ করেছে আমি আসামিদের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানা সাব-ইন্সপেক্টার মোঃ আবদুল করিম বলেন মেয়ের বাবা মোঃ চাঁন মিয়া বাদী হয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর মোঃ আরিফুলকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/৯(১) মামলা রজু করা হয়েছে। আসামী মোঃ আরিফুলকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content