প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২২ , ৪:৪৮:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধ:-পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের পত্নীপাড়া এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধে জেরে সংঘর্ষে দুই গ্রুপের কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন।আহতদের উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ
ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, আব্দুল হাকিম,(৪৫) তার পরিবারের সদস্য সফিকুল ইসলাম,(২১) বন্দেজ আলী, সোনাজান (৫০) ও মরিয়ম(৬০)। অপর পক্ষের আহতরা হলেন রইস উদ্দিন(৩০), রিয়াজ, (২৬)রহিমা বেগম (৪০) ও ঠান্ডু(২৭)
স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার আব্দুল মোতালেবেরে পরিবারের সাথে প্রতিবেশি আব্দুল হাকিমের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। বিষয়ে আদালতে একাধিক মামলা করেছে উভয় পক্ষ। মঙ্গলবার সকালে বিরোধীয় জমিতে চা গাছের চারা রোপন করতে যায় আব্দুল মোতালেবের ছেলে রইস উদ্দিনসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় আব্দুল হাকিম তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বাধা দিতে গেলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুইপক্ষের ৯ জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আব্দুল মোতালেব বলেন, আমি ক্রয় করা যে জমি ৫০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি সেই জমি তারা এখন নিজেদের দাবি করছে। তাদের সাথে আমাদের মামলা চলমান।
গত রবিবার হাকিমরা আমার ৭২ শতক জমির চা বাগানের সব চারাগাছ উপড়ে ফেলে। এতে আমার দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
আজ আবার ওই জমিতে আমরা চায়ের চারা রোপন করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় আমার পরিবারের ৪ জন আহত হয়।আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আব্দুল হাকিম বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তারা ওই বিরোধীয় জমিতে চা বাগান করার চেষ্টা করছিল। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে।
এতে আমিসহ আমার পরিবারের ৫ জন গুরুতর আহত হই। আমরা এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। মূলত তারা অন্যায়ভাবে জমিটি তাদের দাবি করছে। আমাদের কাছে সব ধরণের কাগজপত্র রয়েছে।
এমনকি তারা সম্প্রতি দুইটি মামলা করলেও আদালত তা খারিজ করে দেয়। ওই জমিতে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। তারপরও তারা জমি দখলের পায়তারা করছে। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু সায়েম মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই উভয়পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আবারো জমি নিয়ে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।