অর্থনীতি

মেহেন্দিগঞ্জে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টা-কথিত বিচারের নামে ধামাচাপা!!

  প্রতিনিধি ৩১ মার্চ ২০২২ , ১:৪৯:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির সহসভাপতি আঃ মন্নান শেখ(৬০)পিতা সেকান্দার আলী শেখ মঙ্গলবার(৮ফেব্রুয়ারি)দুপুর দেড়টায় শ্রীপুর স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী মোকতার খানের শিশুকন্যা ছদ্মনাম মীম(১০)কে বরই খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে দিলিপ বাবুর পানের বরজের খড়-কুটার আড়ালে নিয়ে হাতে ২০টাকা ধরিয়ে দিয়ে পরনের সেলোয়ার-কামিজ ছিঁড়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে।মীমের আত্মচিৎকার শুনে স্হানীয়রা গিয়ে উদ্ধার করে।

মীমের মা ফাহিমা বেগম মন্নান শেখের ভাগ্নিয়া শ্রীপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ মোল্লার কাছে গিয়ে বিচার চান।

ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাংবাদিকরা ভিকটিম ও প্রত্যাক্ষদর্শীদের বক্তব্য রেকর্ড পূর্বক পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন।

অভিযুক্তের ছেলে আঃ রাজ্জাক শেখের নেতৃত্বে ১৫জন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভিকটিম ও তার পরিবারের ৪জনকে তুলে নিয়ে যান।এসময় চৌকিদার ফকরুল,রাসেলকে মারধর করে।বিএনপির সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের নেতৃত্বে কথিত শালিসগনরা মীমের বিয়ে দেয়ার সকল দায়িত্ব নেন।ভিকটিমের চিকিৎসা খরচ ২০ হাজার টাকা দেন।

ভিকটিমের পিতা মোকতার খান সাংবাদিকদের বলেন,আমরা গরীব মানুষ এদেশে থাকতে পারবো না।ইজ্জত বাঁচেনা।

শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির সহসভাপতি অভিযুক্ত আঃ মন্নান শেখ শ্রীপুর ইউপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের উপস্হিতিতে ঘুরে বেড়ান।সাংবাদিকরা অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে,সে বলেন ২১দিন পর ধর্ষনের আলামত থাকেনা।আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান করতে পারবেনা।অভিযোগকারী প্রমান না করতে পারলে,তারই সাজা হবে।

শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,চেয়ারম্যান হারুন মোল্লা শুধু ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে।যাকে টাকায় কেনা যায়।সে আবার পাল্লা করতে চায়।ওর সবকিছু জনগনের।ঘর-বাড়ি,টিন জমি সরকারী।আমার লোকজনকে মামলায় জড়িয়ে ওর দূর্নীতি ও অপরাধ কর্মকান্ড ধামাচাপা করতে চায়।

এব্যাপারে শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ মোল্লা সাংবাদিকদের জানান,আমার কাছে ভিকটিম ও ভিকটিমের মা এসে অভিযোগ করছে।ভিডিওচিত্র আছে।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসিসহ কতিপয় পুলিশ রুবেল কাজীর ক্রয়কৃত গোলাম।মাসোহারা বানিজ্য করছে।

পুলিশের এসপি,ওসির কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি!মুঠোফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।ম্যাসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়েও জবাব মেলেনি!!

এবিষয়ে ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে?!!!!

আরও খবর

Sponsered content