অপরাধ-আইন-আদালত

৪১ বছর পর চার সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের নিকট অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১:১৩:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহী প্রতিনিধি।।রাজশাহীর তানোরে এক বাবা গুম হওয়ার ৪১ বছর পর চার সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন তাদেরই ছোটভাই। বুধবার (২২ মার্চ) রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।

এদিকে অভিযোগকারী তানোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনজুর রহমান (৫০)। ওই ওয়ার্ডের জিওল মহল্লার বাসিন্দা।

অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন— একই মহল্লার বাসিন্দা মোজাহার আলী (৫২), আনসার আলী (৫৫), ইনছান আলী চৈত্যা (৫৬) ও মুনতাজ আলী (৫৪)। সবার বাবা মেহেরুল্লা মণ্ডল।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়,১৯৮১ সালের ৩ জুলাই রাত ১০ ঘটিকার সময় বাবা মেহেরুল্লা মণ্ডলের সঙ্গে কাউন্সিলর মুনজুর রহমান শয়নকক্ষে একসঙ্গে শুয়ে ছিলেন।ওই সময় কাউন্সিলর মুনজুর রহমানের বয়স ছিল ১০ বছর।এ অবস্থায় তাদের বাড়ির কাজের লোক ভাতরন্ড মহল্লার বাসিন্দা মৃত দাউদ আলীর পুত্র কেতাব আলী বলে মহিষের ক্ষুরারোগ হয়েছে।

কেতাবের এমন কথায় বাড়ির দরজা খুলে বাবা মেহেরউল্লা ও ছেলে মুনজুর রহমান মহিষের গোয়ালঘরে যান। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা ৮-১০ জন পরিচিত ব্যক্তির মধ্যে সহোদর উপরোক্ত চার ভাই মিলে বাবা মেহেররুল্লাকে মারধর অবস্থায় ধরে নিয়ে যায়।

কাউন্সিলর মুনজুর রহমান অভিযোগে বলেন,গোয়ালঘরে তার বাবাকে করলে মারধর অবস্থায় বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করেন।

এ সময় তারা হুমকি দিয়ে বলে ‘মুখ বন্ধ রাখ,নতুবা তোকেও মেরে ফেলে পুঁতে দেব’।তাদের এমন হুমকির ভয়ে ভীতস্থ হন।এহেন সময় পূর্ব পরিচিতি জিওল মহল্লার বাসিন্দা আজাহার শাহ্’র পুত্র তসলিম শাহ্ অনুন্নয় বিনয় করে ছাড়িয়ে নেয়।এরপর তার পিতাকে তুলে নিয়ে গুম করা হয়।

কাউন্সিলর আরও জানান,তিনি প্রাণের ভয়ে এ কখন পর্যন্ত বাবা গুম হবার ব্যাপারে কাউকে বলিনি।কিন্তু বর্তমানে তার বাবার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বিভাগ বণ্টনের জন্য ভাইদের বলা হলে বাবার ন্যায় পরিণতি হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এতে নিরুপাই হয়ে জীবনের নিরাপত্তা ও গুম হওয়া বাবাকে উদ্ধার ছাড়াও তাদের সম্পত্তি সুষম বণ্টনের জন্য তিনি পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযুক্ত ইনছান আলী চৈত্যা বলেন,বাবা গুম হবার ব্যাপারে সেই সময়ে মোজাহার আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছিল।ওই মামলা খারিজ হয়ে গেছে।এখন নতুন করে তার কাউন্সিলর ভাইয়ের অভিযোগ ব্যাপারে শুনেছেন,দেখা যাক কী হয়।’

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এবি এম মাসুদ হোসেন বলেছেন,প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ আসে। কিন্তু এহেন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অবগত নন।যদি এমন অভিযোগ হয়ে থাকে আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব বলে জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content