ইসলাম ও জীবন

১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী

  প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২২ , ১:৩৯:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।মহান আল্লাহ বিশ্ব জগতের শান্তি ও রহমত স্বরুপ ১২ রবিউল আউয়াল হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে এই জগতে প্রেরণ করেন। আজ সৃষ্টি জগতের আলােক প্রদর্শনকারী করুণাধারা ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন। বিশ্বনবীর আবির্ভাবে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান এবং সার্বজনীন, সুন্দর, সহনশীল ও সাম্য প্রতিষ্ঠার দিকনির্দেশনা পায়। তাঁর প্রচারিত শান্তির বাণী হানাহানী ও যুদ্ধবিগ্রহের পরিবর্তে কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভের মূর্ত প্রকাশ। তাঁর প্রদর্শিত পথে জগতের সমস্ত পঙ্কিলতা, কুসংস্কার, অন্যায়, নৈরাজ্য, অবক্ষয় ধীরে ধীরে অপসৃত হতে শুরু করে। বিদায় হজের ভাষণে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন- ধর্মে-ধর্মে যেন আর হানাহানী, মারামারী না হয়, পরস্পরের প্রতি যেন শ্রদ্ধাবােধ থাকে।

মহানবী (সঃ) মানব জাতির জন্য এক অনন্য অনুসরণীয় আদর্শ। নিজ যােগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈৰ্য্য, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি নিঃশর্ত গভীর বিশ্বাস, কর্তব্যনিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রনা ভােগ করে তার উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন নির্ভিকচিত্তে। তিনি তৎকালীন আরবের অন্ধকার যুগের অবসান ঘটান। অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন বরণ এবং সত্য ও ইনসাফ সুপ্রতিষ্ঠিত করে বিশ্ব মানবের মাঝে মানবিকতা জাগ্রত করেছিলেন। সমাজে মজলুম ও দুঃখী মানুষের প্রতি কর্তব্য, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমত সহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সঃ) এর আদর্শ মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত এবং সেজন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিষিক্ত।

আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করি- মহানবী (সঃ) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমরা যদি রাসুল (সঃ) এর বাণী ও আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে বর্তমান দুর্দিনের ঘন অমানিশা দূরীভূত করে মানুষের হারানাে অধিকার ফিরে পেতে সক্ষম হবাে।

আরও খবর

Sponsered content