- আরও
প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২৪ , ৪:৪২:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।মাগুরা জেলার বেকার সমস্যা সমাধানে অন্ততপক্ষে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান।একইসঙ্গে ওয়ার্ল্ডক্লাস ক্রিকেট একাডেমি,ফ্রি ওয়াইফাই জোন তৈরি,কৃষি খাতের আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
সংসদ সদস্য প্রার্থী সাকিব আল হাসান রোববার সন্ধ্যায় ‘ইয়ুথ টক উইথ সাকিব’ মঞ্চে থেকে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের নানা প্রশ্নের উত্তর পর্বে নিজের এসব পরিকল্পনার কথা জানান।নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে পাওয়া এসব প্রশ্নের বিপরীতে একে একে জবাব দেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আবু ইমাম বাকেরের উদ্যোগে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে বিশাল মঞ্চ বানিয়ে সেখানে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মুখোমুখি করা হয় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সাকিব আল হাসানকে।
সুফি ফারুক ইবনে আবু বকরের সঞ্চালনায় সেখানে উপস্থিত হাজারও তরুণ ভোটারদের মধ্য থেকে ১১ জন জেলার স্বাস্থ্য,শিক্ষা ও ক্রীড়াঙ্গনের মানোন্নয়ন,নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকার মানুষের কল্যাণে নিজস্ব পরিকল্পনার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ও পরিকল্পনা জানতে চান।
আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে মাগুরার শিল্পায়নে উদ্যোগ নেবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন,মাগুরা কৃষিপ্রধান একটি ছোট জেলা।এখানে শিল্পের বিপ্লব ঘটেনি।প্রসার খুব কম।কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে পারি। যদিও সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ; কিন্তু নির্বাচিত হলে সেই চ্যালেঞ্জটি নিতে পারব।যেহেতু কৃষিপ্রধান অঞ্চল সেটিকে কিভাবে আরও ডেভেলপড করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।
বেকার সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন,আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল জেলার বেকার সমস্যা সমাধানে একটি ভূমিকা রাখা।অন্ততপক্ষে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।রাজনীতির প্ল্যাটফর্মে থেকে এটি করা সম্ভব। আমি নিজেও আশাবাদী সেটি করতে পারব।
সাকিব বলেন,মাগুরা ছোট জেলা।নিয়মিত ভালো ফুটবলার তৈরি হলেও জেলায় ডেজিগনেটেড স্টেডিয়াম না থাকায় সেই হারে ক্রিকেটার তৈরি হয়নি।এখানে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরি করার যায় কিনা ভেবে দেখা হবে। তবে ইচ্ছে আছে এখানে একটি ওয়ার্ল্ডক্লাস ক্রিকেট একাডেমি গড়ে তোলা।এটি করা গেলে অন্তত খুলনা বিভাগের ছেলেমেয়েরা ভালো ক্রিকেটার হিসেবে নিজেদের তৈরি করার সুযোগ পাবে।
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে সাকিব আল হাসান উপস্থিত তরুণ ভোটারদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
