সারাদেশ

১০ মণ জাটকা উদ্ধার, মামলা নেয়নি কেউ !

  প্রতিনিধি ৩ এপ্রিল ২০২৩ , ১২:০২:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।।বরিশাল শহরের সেই জাটকা ইলিশ মাছ পাচারকারী নাঈম ওরফে নঈয়ার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ১০ মণ জাটকা উদ্ধার করেছে উজিরপুর মৎস্য কর্মকর্তা।

রবিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী বাসস্ট্যান্ড থেকে জাটকা মাছ ও একটি ট্রাক জব্দ করা হলেও এ ঘটনায় রহস্যজনক কারণে কোনো মামলা দায়ের করেনি উজিরপুর মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।

এমনকি টহলে থাকা উজিরপুর থানা পুলিশের এসআই ইউসুফের দায়িত্বরত ফোর্সও এক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা দেখায়নি। ১০ মণ জাটকা ইলিশ মাছ জব্দের পর তা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, “আমি ছুটিতে ছিলাম।যে কারণে অফিসের স্টাফ অনিমেষ ও শফিককে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম।তারা ১০ মন জাটকা মাছ উদ্ধার করে।

কিন্তু তাদের মামলা দায়ের করার মতো এখতিয়ার নেই। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে পারতো,কিন্তু তা করেনি।” এদিকে উজিরপুর থানার এসআই ইউসুফ জানান, “মামলা দায়ের করার দায়িত্ব উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার।যে কারণে আমি ১০ মণ জাটকা মাছ ও ট্রাক ছেড়ে দেই। পাশাপাশি গাড়ির চালক ও লাইনম্যানকে আটক দেখানো হয়নি।”

ট্রাকচালক মোমিন জানায়, বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজারের মাছ ব্যবসায়ি নঈয়ার মাছ নিয়ে ঢাকা পাচারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম।ড্রামের ভেতরে জাটকা মাছ আছে কিনা সে বিষয়টি আমরা জানতাম না।পরে ওই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের চালানকপিতে দেখা যায় নাঈম ফিস এজেন্সির নাম।তবে সেখানেও জালিয়াতি করেছে নঈয়া।বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজারের নাম ব্যবহারের পরিবর্তে চালানকপিতে দেখা গেছে বরগুনা তালতলী উপজেলার নাম। যেখানে নঈয়ার কোনো মাছের দোকান নেই।

এদিকে উজিরপুর উপজেলার স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন,বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল দাস এই পাচারকাজে জড়িত।তাছাড়া কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছে।কয়েকদিন আগে উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোরাকাঠী গ্রামে জাটকা ও চাপিলা মাছসহ একটি ট্রাক আটক করে উজিরপুর থানার এসআই মেহেদী। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তা ছেড়ে দেয় সে।

আরও খবর

Sponsered content