প্রতিনিধি ২৫ মে ২০২৪ , ১:২৪:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দিয়ে আলোচনায় আসা শিক্ষক এম মুখলেছুর রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটিরও বেশি টাকা পাঠিয়েছেন ইউরোপ-আমেরিকায় থাকা সিলেটের প্রবাসীরা।
যে টাকা তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বিপদগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠেয় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে টিয়াপাখি প্রতীকে ভোট চাইতে গিয়ে তিনি এ দাবি করেন।
দু-দিন আগে রাতে উপজেলার সালাম বাজারে নির্বাচনী পথসভায় এম মুখলেছুর রহমান তার নিজের জন্য ভোট চাইতে যান।
সেখানে বলেন,ইংল্যান্ড,আমেরিকা,পর্তুগাল,ফ্রান্স,সৌদি আরব,কুয়েত ও দুবাইয়ে থাকা সিলেট অঞ্চলের প্রবাসীরা আমাকে বিশ্বাস করে আমার অ্যাকাউন্টে এক কোটিরও বেশি টাকা পাঠিয়েছেন।টাকাগুলো এসেছে ব্যাংকে,আমার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট আছে এবং টাকা এসেছে যারা অসুস্থ তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে।
এম মুখলেছুর রহমান আরও বলেন,মানুষের পাঠানো টাকা প্রমাণ হাতে রেখে আমি ব্যয় করেছি।একবার দশ লাখ টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ঢুকছে,আমি গুণে গুণে উন্নয়নের জন্য মেম্বারকে দিয়ে দিয়েছি।
একবার মসজিদের জন্য পাঁচ বান টিন চেয়ে লাইভ করেছিলাম।লাইভ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইংল্যান্ড-আমেরিকা থেকে প্রবাসীরা টাকা পাঠিয়েছেন।
রাজনৈতিক নেতারা জনগণের ৫০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকাই নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে দেয় মন্তব্য করে তিনি বলেন,আমি মানুষের কাছ থেকে যে টাকা পাই,তা পুরোপুরিভাবে খরচ করি বিধায় মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে।
মানুষ বিদেশে চাকরির প্রথম পারিশ্রমিক পেয়ে প্রিন্সিপাল এম মুখলেছুর রহমানের কাছে মানবতার কল্যাণে টাকা পাঠান বলেও তিনি এ বক্তব্যে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, যে যে মসজিদের জন্য মানুষের কাছে টাকা চেয়েছি, প্রবাসীরা ব্যাংকে টাকা পাটিয়েছেন, আমি ছয়জন গৃহহীন মানুষকে ঘর বানিয়ে দিয়েছি। এক প্রবাসী নারীর মাধ্যমে একটি মসজিদে পাঁচ লাখ টাকা এনে নিয়েছি।
এ সময় প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা এনে সালাম বাজারে মসজিদ নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস উপহার দেন শিক্ষক মুখলেছুর রহমান।সেই গাড়িটি হিরো আলম অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন।সেই থেকেই আলোচিত হয়ে ওঠেন প্রিন্সিপাল এম মুখলেছুর রহমান।