জাতীয়

খুব ইচ্ছা ছিল,একজন নারীকে বিচারপতি করে যাবো-প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:২৮:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,একজন নারীকে প্রধান বিচারপতি করতে না পারার আফসোস রয়ে গেছে। ‌‘খুব ইচ্ছা ছিল,একজন নারীকে বিচারপতি করে যাবো।কিন্তু আমাদের সমাজে এত বেশি কনজারভেটিভ,এগুলো ভাঙতে সময় লাগে।সেজন্য করতে পারেনি।

নারী জাগরণে বেগম রোকেয়ানারী জাগরণে বেগম রোকেয়া
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া-২০২৩ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আফসোসের সুরে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশের নারীরা এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে বলেও সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নারী শিক্ষা,নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ানারী শিক্ষা,নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া
প্রধানমন্ত্রী বলেন,জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না,এটাই ছিল পাকিস্তানের আইন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সমস্ত আইনগুলো পরিবর্তন করেন। এই আইন পরিবর্তনের পর থেকে আমাদের দেশের মেয়েরা জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দিতে পারছে।’

শেখ হাসিনা বলেন,আমি সরকারের এসে দেখি, আমাদের উচ্চ আদালতে কোনো নারী জজ নেই।তখন আমি উদ্যোগ নিলাম,মহামান্য রাষ্ট্রপতি,প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি,আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও বলেছি-উচ্চ আদালতে কোনো জজ নিয়োগ দেওয়া হলে তাতে যদি কোনো নারী জজের নাম না থাকে,আমি কখনও ওই ফাইল সই করব না, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবো না।সেই থেকে যাত্রা শুরু।’

তিনি আরও বলেন,বেগম রোকেয়ার সময় মুসলমান মেয়েরা ঘরে অবরুদ্ধ থাকতো।লেখাপড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে তার স্বামী সবসময় তাকে সহযোগিতা করেছেন,তার ভাই তাকে সহযোগিতা করেছেন।তিনি নিজের প্রচেষ্টা উর্দু,বাংলা, আরবি,ইংরেজি,শিক্ষা যেগুলো গ্রহণ করা সেগুলো তার স্বামীর কাছ থেকে শিখেছেন।স্বামীর কাছে আক্ষরিক জ্ঞান এবং বই পড়ার শিক্ষা গ্রহণ করেন।’

শেখ হাসিনা বলেন,স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি তার ভাইয়ের কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পান।তার স্বামীর নামে একটি স্কুল তৈরি করেন।স্কুল তৈরির পরও তাকে অনেক বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করতে হয়।কারণ স্বামীর নামে যে স্কুল করেছিলেন,সেখানে ছাত্রী পড়ানো যেত না।তিনি নিজের বাড়ির বাইরে গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করে নিয়ে আসতেন।এটা করতে গিয়ে অনেক পরিবারের বাধা এবং অনেক প্রতিবন্ধকতা এসেছে। তিনি দমে যাননি কখনও।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,বাংলাদেশের মেয়েরা আর পিছিয়ে নেই।খেলাধুলা থেকে রাজনীতি-সব ক্ষেত্রে নারীরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছে।সাংবাদিকতা থেকে শিল্পকলা সব জায়গায় নারীরা সফল।এখন ধর্মের কথা বলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীদের কেউ আটকে রাখতে পারবে না।’

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

আরও খবর

Sponsered content