সারাদেশ

সালাউদ্দিন রিপনের এতো অর্থের উৎস কোথায় থেকে আসছে?!

  প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১:৪২:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রিপনের বাড়ী বরিশাল উপজেলার চরবাড়ীয়া ইউনিয়নে! ২০০৩ সালে খালি হাতে পাড়ি জমায় ঢাকার রাজধানীতে চাচার বাসায়।চাচা রফিকুল ইসলাম একজন প্রতিষ্ঠিত রেল ব্যবসায়ী।

ঢাকাতে উঠে চাচার বাসাতেই ঠাই হয় রিপনের। পাশাপাশী চাচা রফিকুল ইসলাম ভাতিজাকে সরল মনে রেল ব্যবসা দেখাশুনার দায়িত্ব দেন রিপনকে। ২০০৪ সালে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যুবরণ করেন চাচা রফিকুল ইসলাম।আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চাচার রেল ব্যবসা পুরোপুরি নিজের মত গুছিয়ে নেন রিপন। এমনকি চাচাত বোনকে বিয়ে করে চাচার বাকী অর্থ সম্পদ নিজের কব্জায় নিয়ে চাচাত বোনকে বিদায় দিয়ে নোয়াখালীতে আরেকটি বিয়ে করেন।

চাচার রেল ব্যবসা সহ তার সম্পদ আত্মসাৎ করে রাতারাতি কোটিপতির বনে জান রিপন। এদিকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত বরিশালে অর্থাৎ নিজ গ্রামের বাড়ীতে এসে এস.আর সমাজক্যালণ সংস্থার সাইন বোর্ড লাগিয়ে সেই অবৈধ টাকা স্থানীয় দুস্থ্য এবং কিছু বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকদের মাঝে বিলি করে জনপ্রতিনিধি হবার স্বপ্ন দেখছেন সালাউদ্দিন রিপন।কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তার সেই স্বপ্ন? এমন প্রশ্নের এক জবাবে রিপনের ঘনিষ্টজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মীরা বলেন রিপন টাকা খরচ করছে আমরা তাকে এ কাজে সহযোগিতা করছি মাত্র।জনপ্রতিনিধি হওয়াটা এত সহজ নয় বলে তারা জানান, রিপন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে পায় নি, তাই তিনি স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করছে। কিন্তু দলের জন্য চোখে পরার মত সে কিছুই করেন নাই।

আর আওয়ামীলীগ বরিশাল সদর আসনে প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাদের মধ্য থেকেই নৌকার মনোনয়ন দেয়। রিপন হঠাৎ করে বরিশালের মানুষের মাঝে নানান ভাবে মনকেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে রিপনের এলাকার লোকজন জানান, রিপন হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন আর জনসেবার নামে সাধারণ মানুষের কাছে কাছে গিয়ে জনসংযোগের চালাচ্ছেন।তাদের মতে একজন জনপ্রতিনিধি হবেন যিনি সমাজের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন তিনিই হবেন জনপ্রতিনিধ।অথচ, রিপন রেল ব্যবসা করছেন যেখানে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রেলের জন্য লোকসান দিচ্ছে সেখানে রিপনের মত একজন রেল ব্যবসায়ী সরকারের কাছ থেকে রেল ইজারা নিয়ে মাত্র ১৪ বছরে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন কিভাবে?

আর সরকারকে এই ১৪ বছরে রেল খাতে লোকসান দিতে হয়েছেন প্রায় কয়েকশ কোটি টাকা।সরকার বছরের পর বছর লোকসান দিলেও রিপনের মত দুর্নীবাজ ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠছেন জিরো থেকে হিরো। রিপনের আরেক ঘনিষ্টজন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, রিপন বরিশাল সদর ৫ আসনে ট্রাক মার্কা নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নগরী সহ বরিশাল সদর আসনের আশপাশে সাধারণ মানুষদের মাঝে দুর্নীতির অর্থ দান-খয়রাত দিয়ে পরিচিতি লাভ করার চেষ্টা চালাচ্ছে রিপন।তিনি আরো জানান, সালাউদ্দিন রিপন ২০০৩ সালে ঢাকায় গিয়ে প্রথমে তার চাচা রেল ব্যবসায়ী রফিকুলের ব্যবসা দেখাশুনা করত।

২০০৪ সালে চাচা রফিকুল ইসলাম মারা যাবার পরপর চাচত বোনকে বিয়ের নাটক করে রফিকুল ইসলামে রেল ব্যবসা,নগদ অর্থ আত্মসাত করার পরপরই রিপন তার চাচত বোনকে ছেড়েদেন।অন্যদিকে রেলের দায়ীত্বে থাকা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আঁতাত করে একদিকে সরকারকে ঠকিয়েছেন অন্য দিকে রেল ব্যবসার আড়ালে রেলে করে অবৈধ চোরাচালান পাচার করে রাতা-রাতি কোটিপতির বনে যান রিপন।যা দূর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে সালাউদ্দিন রিপনের এতো অর্থের উৎস কোথায় থেকে আসছে।

আরও খবর

Sponsered content