অপরাধ-আইন-আদালত

সমাজের আরেকটি ব্যাধির নাম কিশোর গ্যাং

  প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৬:১২:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

সুবর্ণচর প্রতিনিধি।।সুবর্ণচরের বিভিন্ন হাট বাজারে, স্কুল-কলেজ কিংবা মাদ্রাসার সামনে ১১-১২ থেকে ১৬-১৭ বছরের দলবদ্ধ কিছু কিশোর দেখা যায়, যাদের চাহনিতে আছে রুক্ষতা, নেই নম্রতা-ভদ্রতার ছাপ। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি অথবা মোটরসাইকেলের বিরক্তিকর হর্ন বাজিয়ে প্রকাশ্যে মানুষকে উত্ত্যক্ত করা তাদের কাজ। সংঘবদ্ধ হয়ে বিশেষত কিশোরী কিংবা নারীদের তারা প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। এই ধরনের চক্র এখন সমাজের ব্যাধির মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের আমরা ‘কিশোর গ্যাং’ নামে চিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ ছালেহ উদ্দিন (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক) বলেন, কিশোর অপরাধিদের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে যদি কোনো সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী কিংবা রাজনৈতিক নেতার নাম পাওয়া যায়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গণমাধ্যমে কিশোরদের প্রশ্রয়দানকারী ওই সব অসাধু মানুষের পরিচয় ফলাও করে প্রচার করতে হবে।

ইকবাল মাহমুদ সোহেল (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক) বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ এই কিশোর গ্যাং নির্দ্বিধায় একের পর এক অন্যায়, ত্রাস, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুনের মতো বড় অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে শুধু তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে বলে। প্রচলিত আইনে ১৮ বছরের নিচে অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় বড় কোনো শাস্তির পরিবর্তে তাদের পাঠানো হচ্ছে গাজীপুরে অবস্থিত কিশোর শোধনাগারে। সেখান থেকে কি এই অপরাধী কিশোরেরা আলোকিত মানুষ হিসেবে বের হচ্ছে। উত্তরটি প্রশ্নবিদ্ধ। তাই প্রয়োজন আইনটির সংস্কার।

রিজুম বাবলু (কাতার প্রবাসী) বলেন, সাধারণভাবে কিশোর অপরাধিদেরকে ‘ওরা পোলাপান’ বলে উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। ইতিমধ্যে বড় বড় অঘটন বখাটে কিশোরেরা ঘটিয়ে ফেলেছে। আর ছোটভাবে দেখার সুযোগ নেই। এখনই ব্যবস্থা না নিলে সমাজ অস্থির হয়ে উঠবে।

আরও খবর

Sponsered content