অর্থনীতি

সঞ্চয়পত্রে প্রতিমাসে মুনাফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

  প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:১৬:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।চার প্রকার সঞ্চয়পত্র চালু আছে দেশে। এরমধ্যে পরিবার সঞ্চয়পত্র ছাড়া সব সঞ্চয়পত্রে মুনাফা দেওয়া হয় তিন মাস অন্তর।অর্থাৎ শুধু পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হয় প্রতি মাসে।এবার প্রস্তাব করা হয়েছে সব (তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র,পেনশন সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র) সঞ্চয়পত্রে প্রতিমাসে মুনাফা দেওয়ার।জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর এ ধরনের একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে।

সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের পাঠানো প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে,পেনশন সঞ্চয়পত্রে ক্রয়সীমা পরিবার সঞ্চয়পত্রে ক্রেতার বয়সসীমার বিষয়েও প্রস্তাব করা হয়েছে।বলা হয়েছে,পেনশন সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করার কথা।একই সঙ্গে পরিবার সঞ্চয়পত্রে পুরুষ ক্রেতার বয়সসীমা ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৫০ বছরে আনারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন,এটি করা হলে বেশি সংখ্যক পুরুষ পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার আওতায় আসবেন।আবার সঞ্চয়পত্রে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগ করতে পারবে।মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলে সেটি কার্যকর করা হবে।

আরেক কর্মকর্তা বলেন,তিন মাসের মুনাফা একসঙ্গে না দিয়ে প্রতিমাসে দেওয়া হলে ব্যক্তি সে টাকা কাজে লাগাতে পারবেন।সুদহার ঠিক রেখেই প্রতিমাসে মুনাফা দেওয়ার বিধান চালু হবে।

বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্র ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার কেনা যায়।কোন নাগরিকের বয়স ১৮ বা এর বেশি মহিলা,শারীরিক প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা এবং ৬৫ বছর ও তার বেশি পুরুষ ও মহিলা কিনতে পারেন।পেনশন সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা ৫০ লাখ টাকা ছিল।এখন এক কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ডুপ্লিকেট ইস্যুও ম্যানুয়ালি করা যাবে।এ সংক্রান্ত মতামত অর্থ বিভাগের কাছে পাঠিয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

আরও খবর

Sponsered content