জাতীয়

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রের হৃদয়বিদারক ঘটনাটি হলো:-

  প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২২ , ১০:৫৭:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার নীল নকশা তৈরির গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ছুটে গিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে। সেই সকল কথা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ঘটিয়েছে বিপথগামী সেনা সদস্যরা। সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। পাঠকের কাছে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে:-
৭৪-৭৫ সালে এমপি হোস্টেলে থেকে প্রায়ই ক্যান্টনমেন্টে যেতাম মামা শ্বশুর ড. মাহবুবুর রহমানের বাসায়। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিস খুব কাছাকাছি। শ্যালক মাসুমকে সঙ্গে নিয়ে ওদের অনেকেরই হাবভাব, চালচলন পর্যবেক্ষণ করতাম। ভালো লাগত না। বারবারই মনে হত খারাপ কিছু ঘটবে। কিন্তু ওরা যে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেরে ফেলবে, এটা কল্পনাই করতে পারিনি। তারপরও সিদ্ধান্ত নিলাম ডিজিএফআই অফিসের লোকজনের কথাবার্তা ও রহস্যজনক আচরণের বিষয়গুলো বঙ্গবন্ধুকে জানাব।”

“যতদূর মনে পড়ে, পঁচাত্তরের ১১ অগাস্ট বিকেলে গণভবনে গিয়েছি। তৎকালীন মন্ত্রী কোরবান আলী তখন সেখানে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে বললাম, আমার কিছু একান্ত কথা আছে। তিনি আমাকে ইশারায় বসতে বলে অন্যান্য কাজ সারতে থাকলেন। সন্ধ্যার পর আমাকে নিয়ে বের হলেন। গণভবনের বাগানে হাঁটতে হাঁটতে আমার কাছে জানতে চাইলেন, কী বলতে চাস? আমি ডিজিএফআই অফিসের বিষয়গুলো জানিয়ে বললাম, ওদের হাবভাব ও চলাফেরা আমার ভালো ঠেকছে না। বঙ্গবন্ধু হেসে বললেন, একটু ঝামেলা ছিল, সব ঠিক হয়ে গেছে, চিন্তা করিস না। ফিরে এলাম আশ্বস্ত হয়ে। এটাই তার সঙ্গে আমার শেষ দেখা, শেষ কথা। এখন বুঝতে পারি, কোনো কিছুই ঠিক ছিল না তখন। আমাদের অগোচরেই জনকের রক্তে কালো হাত রঞ্জিত করতে প্রস্তুত হচ্ছিল ঘাতকরা।”

__মো. আবদুল হামিদ
(মহামান্য রাষ্ট্রপতি)

(ছবি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নভেম্বর ১৯৭৪)

আরও খবর

Sponsered content