প্রতিনিধি ১১ মার্চ ২০২৪ , ৫:৫৩:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।রোজায় চিনি,খেজুর,সয়াবিন তেল, ছোলাসহ ইফতারসামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন পদের ডালের চাহিদা বেড়ে যায়।এ বছর এসব পণ্যের প্রায় সবগুলোর দামই চড়া।এর মধ্যে চিনি ও তেলের দাম এক বছরের বেশি সময় ধরে বাড়তি।তার সঙ্গে রোজাকে সামনে রেখে এবার খেজুর, ছোলা ও ডালের দামও বেড়ে গেছে।এ ছাড়া পেঁয়াজ, বেগুন,শসা ও লেবুর দামও চড়া।বিদেশি ফলের দাম নাগালের মধ্যে নেই।তাতে ইফতার আয়োজনে সাধারণ মানুষকে এবার খরচ সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হবে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী,গত তিন বছরের মধ্যে এবারই রোজার বাজারে চিনি,খেজুর,ছোলা,পেঁয়াজ ও অ্যাংকর ডালের দাম সবচেয়ে বেশি।সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে রোজার আগে বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা।এ বছর চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।তাতে এক বছরে চিনিতে খরচ বেড়েছে সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৭ টাকা।
টিসিবির হিসাবে,২০২১ সালে রোজার আগে বাজারে ছোলার দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।এ বছর দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকাতাতে দুই বছরের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ থেকে ৪০ টাকা।তবে টিসিবির দামের চেয়ে বাজারে চিনি ও ছোলার দাম আরও বেশি। বাজারভেদে এ দুটি পণ্যের দাম টিসিবির দেওয়া দামের চেয়ে ৫ টাকার বেশি।
এ বিষয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের লক্ষ্মীপুর স্টোরের স্বত্বাধিকারী কামরুল ইসলাম বলেন,রোজার আগে ছোলা ও বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম বাড়তি।বেসনের দামও বেড়েছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।
টিসিবির হিসাবে,গত দুই বছরে বাজারে অ্যাংকর ডালের দাম বেশ বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা।গত বছর এ দাম ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।আর ২০২২ সালের রমজানের আগে অ্যাংকর ডালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।বাজারে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।গত বছর প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।আর ২০২২ সালে এ দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।