সারাদেশ

রাজউক কর্মচারী দেবাশীষ বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত

  প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২৩ , ১২:৪৫:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেবাশীষ কুমার সাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত রাজউকের।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সংস্থাটির এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়,রাজউক কর্মচারী দেবাশীষ কুমার সাহার বিরুদ্ধে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকার জমি হাতিয়ে নেয়া ও নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এতে রাজউকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।তার এ ধরনের কার্যকলাপ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা-২০১৩-এর বিধি ৩৭(খ) মোতাবেক অসদাচরণ এবং বিধি ৩৭(চ) অনুযায়ী প্রতারণার শামিল। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি তদন্ত শেষে প্রমাণ হলে গুরুদণ্ড আরোপ হতে পারে।

অফিস আদেশে বলা হয়,দেবাশীষ কুমার সাহার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা,অসদাচরণ এবং প্রতারণার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।তার বিরুদ্ধে নিয়মিত বিভাগীয় মামলা রুজু করা হোক।

তবে এ সময় তিনি খোরাকি ভাতা পাবেন বলে উল্লেখ করা হয় ওই অফিস আদেশে।এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে দেবাশীষ কুমার সাহাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।পুলিশ বলছে, নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পুলিশ,আইনজীবী ও রাজনীতিবিদদের ভয় দেখাতেন দেবাশীষ।

দেবাশীষের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই মূলত তিনি নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতেন।পরিবারের কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা ছিল তার আরেক কৌশল।

জানা গেছে,দেবাশীষ একজন পেশাদার ক্যাসিনো জুয়াড়ি।১১ এপ্রিল নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে দুই ক্যাসিনো জুয়াড়ি দেবাশীষ এবং মফিজুল ইসলামকে আটক করে সেখানকার পুলিশ।তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার ডলার উদ্ধার করা হয়। জনপ্রতি ৩০ হাজার ডলার পরিশোধ শর্তে তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার আদেশ জারি করা হয়।পরে উচ্চ আদালতে আপিল করলে ১০ লাখ নেপালি রুপি জমা দিয়ে ২৩ দিন পর জেল থেকে জামিন নিয়ে বাংলাদেশে আসেন।তাদের মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ মে নির্ধারিত ছিল।

তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

আরও খবর

Sponsered content