সারাদেশ

মেহেন্দীগঞ্জে লঞ্চে ওঠার সময় চাপা পড়ে এক নারীর পা বিচ্ছিন্ন

  প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২২ , ১২:০৩:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি।।বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে লঞ্চে ওঠার সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝখানে চাপা পড়ে এক নারীর পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গতকাল রোববার রাতে উলানিয়া কালীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

আহত ওই নারীর নাম রিনা আক্তার (২৯)। তিনি মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের মৃত কামাল রাঢ়ীর স্ত্রী।

আজ সোমবার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আবদুল্লাহ বলেন, ওই নারীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে আনার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। ওই নারীর পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকাগামী এমভি ফারহান-৪ নামে একটি দোতলা লঞ্চ কালীগঞ্জ ঘাটে যাত্রী তোলার জন্য নোঙর করে। এ সময় পন্টুনে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করে লঞ্চে ওঠার সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝখানে রিনা আক্তারের বাঁ পা চাপা পড়ে। মুহূর্তে তাঁর হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই রিনা আক্তারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, রিনা আক্তারের চিকিৎসার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাহায্য করা হয়েছে।তবে এ ঘটনায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

রিনা আক্তারের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রিনা আক্তার তাঁর মা ফাতেমা বেগমকে ঢাকাগামী লঞ্চে তুলে দিতে লঞ্চঘাটে গিয়েছিলেন। এমভি ফারহান-৪ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়লে রিনা তাঁর মাকে নিয়ে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝখানে চাপা পড়ে তাঁর বাঁ পা গুরুতর জখম হয়।

এসআই রফিকুল আরও বলেন, রিনা আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ করলে লঞ্চমাস্টার (চালক) বা কর্মচারীদের কোনো ধরনের গাফিলতি কিংবা অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content