সারাদেশ

মেহেন্দিগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র তান্ডবে ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট লন্ডভন্ড,মাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

  প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২৪ , ৪:৪৩:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মেহেন্দিগঞ্জ(বরিশাল) প্রতিনিধি।।বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১৭টি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র তান্ডবলীলায় অসংখ্য ঘর-বাড়ি,রাস্তাঘাট লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে।নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুর্যোপূর্ণ এলাকার মানুষ।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভা, আলীমাবাদ,জাঙ্গালিয়া,দক্ষিণ উলানিয়া,গোবিন্দপুর, জয়নগর,চানপুর,শ্রীপুর,দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নে।

সরজমিনে পৌরসভার গোবিন্দপুর ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, বিশাল একটি রেইন্ট্রি গাছ উপড়ে পড়ে সবুজ মৃধার বসত ঘরটি সম্পুর্ন বিধ্বস্ত হয়।এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্ত সবুজ মৃধা, পৌরসভার বদরপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বেপারী বলেন,তার ওয়ার্ডে কয়েকটি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, চরহোগলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মোতালেব জাহাঙ্গীর বলেন,তার ওয়ার্ডেও একাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ ইউনিয়নে ঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে টার্মিনালের পল্টুনের বাঁধ ছিড়ে উলানিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্বজোড়ে ধাক্কা দেয়।পল্টুনের ধাক্কায় বিদ্যালয়টির একাধিক শ্রেণী কক্ষ বিধ্বস্ত হয়।প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশিদ আর সহকারী শিক্ষক মোঃ আলী হোসেন লিটন।এখন বিদ্যালয়ের পুরো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে,আতংকে আর উৎকন্ঠায় রয়েছে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।এর ফলে বিদ্যালয়ের ৫শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে,অতিদ্রুত বিদ্যালয় সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন,উপজেলায় ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।এ ছাড়া ১১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা,১০কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ১৫-২০টি ব্রীজ-কালভাট,৪টি বাঁধ,একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,এবং ১০-১৫টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ এর খুঁটি ভেঙ্গে এবং সংযোগ তার ছিড়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়েছে কয়েকশ হেক্টর জমির ফসল,বিশেষ করে ধান, সয়াবিন,পাট,মরিচ,কাঁচা তরিতরকারিসহ অসংখ্য পুকুরের মাছ পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দাবী,কৃষিতে ১৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।উপজেলা মৎস্য অফিসার জানায়, ১২শত ৩২টি পুকুর/ঘের পুবে মৎস্যখাতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তবে সরকারী হিসাবের চেয়ে আরো বেশী ক্ষতি হয়েছে দাবী দুর্গত এলাকাবাসির।

এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র প্রভাবে মেহেন্দিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content