সারাদেশ

মেহেন্দিগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভেঙে পড়ার দশা থেকে উদ্ধার হলেও এবার ভেঙেছে পারাপারের ব্রীজটি!

  প্রতিনিধি ৬ জুন ২০২৩ , ২:৪১:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকায় মুজিব বর্ষের ক্লাষ্টার-৩ পারাপারের একমাত্র ব্রীজটি মালবাহী ট্রলারের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ জুন ২০২৩) সন্ধ্যা ৭টায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, শ্রীপুর ইউনিয়নের নদী সিকস্তি অসহায় গৃহহীন ৩০ পরিবারকে পূর্নাবাসনের লক্ষ্যে গড়ে ৩০হাজার টাকা নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ আওতায় মজিববর্ষের উপলক্ষ্যে বিশ্বনন্দিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর উদ্বোধন করার পূর্বেই হস্তান্তর করা হয়। এরপরে বর্ষার শুরুতে উদ্বোধনের আগেই জোয়ারে পানিতে ডুবে ডেবে গিয়ে ১৮টি ঘর ভেঙে পড়েছে। তারপর কোনমতেই মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহের চর মৌজার জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত জমি ১৩৯২ দাগের ৩টি ক্লাষ্টারে ৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭টি ভোলা-বরিশাল সীমানার বিরোধীয় জমির মহিষমারী-বাহেরচর খালের পূর্ব পাড়ে,১৪টি খালের পশ্চিমপাড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তবুও জিএসপি অর্থায়নে ৭লাখ টাকার বিনিময়ে ১টি ব্রীজ নির্মাণ করে ক্লাষ্টার-২ থেকে ক্লাষ্টার-৩ উত্তর পাশে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন খানের বাড়ির পূর্ব পাশের রাস্তা হয়ে হাট-বাজার, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াতের পথ সৃষ্টি করছে। উক্ত ব্রীজটি শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ মোল্লার বাড়ির পূর্ব পাশের ইউনুস কাজীর ছেলে আল আমিন কাজী মালবাহী ট্রলার দিয়ে ব্রীজটির উপর ধাক্কা মেরে ভেঙে ফেলছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন, আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন খান। তিনি বলেন,আজ মাগরিবের নামাজের পর ব্রীজটির উপর তিনি সহ ১০/১৫জন বসা ছিল।আল আমিন মালবাহী ট্রলার নিয়ে যাচ্ছিল। জোয়ারের পানিতে খাল ভরপুর হওয়াতে ব্রীজটির উপর ট্রলার ধাক্কা খেয়ে ব্রীজটির মাঝখানের ৬টি ভীম সহ ভেঙে পড়েছে!

অভিযুক্ত আল আমিন জানান, আমাকে দোষারোপ করে কি লাভ হবে? পুরনো ভীম, পঁচা ইটের খোয়া দিয়ে রড, সিমেন্ট কোনমতে ব্রীজটি লড়ভড় করেছেন।সেই কারণে ভেঙেছে।

এব্যাপারে শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ মোল্লার বক্তব্য জানতে চাইলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এবিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুর নবী চৌধুরীর বক্তব্য জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।

আরও খবর

Sponsered content