আন্তর্জাতিক

মণিপুরে অশান্তির ঘটনা এড়াতে সে রাজ্যে আকাশপথে নজরদারির পরিকল্পনা করছে -সেনা

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২৩ , ৪:৪২:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।ভারতের মণিপুরের হিংসার ঘটনায় এখনো লাগাম পরানো যায়নি। এই অবস্থায় নতুন করে অশান্তির ঘটনা এড়াতে সে রাজ্যে আকাশপথে নজরদারির পরিকল্পনা করছে সেনা।রাজ্যের হিংসাপ্রবণ এবং‌ স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে নজরদারি চালাতে মানববিহীন ড্রোন নামানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।এর পাশাপাশি ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুরসহ উপদ্রুত অঞ্চলের অলিগলিতে টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছেন আধা সেনা এবং আসাম রাইফেলসের কর্মকর্তারা।

ভারতের সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলে বসবাস করা কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠার কাজে প্রধান অন্তরায়। তাই তাদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো প্রয়োজন। মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলগুলো পাহাড় দিয়ে ঘেরা থাকায় সেখানে স্থলপথে নজরদারি চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সেনার ওই সূত্রটি। তা ছাড়া রাজ্য লাগোয়া মিয়ানমার সীমাম্ত দিয়েও যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে চাইছে সেনা।

অন্য দিকে, রোববার সকালে মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে তিন ঘণ্টার জন্য কার্ফু তুলেছে সরকার। রোববার সকালে এই তিন ঘণ্টা সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সুযোগ দেয়ার জন্য সাময়িকভাবে এই কার্ফু তুলে নেয়া হয়েছে। মণিপুর হিংসার জেরে এখনো পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার থেকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে অশান্তি চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোথাও কোথাও কার্ফু জারি করেছে সরকার। রাজ্যের একাংশে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।

বুধবার রাতে এই চূড়াচাঁদপুরেই হিংসার সূত্রপাত। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় তফসিলি জনজাতি (এসটি) তকমার দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের দাবির বিরোধিতা করে মণিপুরি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর তরফে বুধবার একটি মিছিল বের করা হয়েছিল। সেখান থেকেই সংঘাতের সূচনা। যা ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় পরিস্থিতি প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ চেষ্টা করেও হিংসা থামাতে পারেনি। ইম্ফলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। বহু মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণের ভয়ে মণিপুর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content