প্রতিনিধি ১৪ মে ২০২৫ , ৪:৪৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোলা জেলা প্রতিনিধি।।ভোলায় বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার দাবি উপেক্ষা করে সরকারি মূল্যে এলপিজি সিলিন্ডার বিতরণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলার ৫৬৮ জন গ্রাহকের মধ্যে সিলিন্ডার বিতরণের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড।
আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সিলিন্ডার বিতরণকাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান। তবে দীর্ঘদিন ধরে বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ নিতে সাধারণ গ্রাহক, ঠিকাদার, রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাঁদের অনেকে সংযোগ নিতে টাকা জমাও দিয়েছেন।
সিলিন্ডার বিতরণকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান। তিনি বলেন,আবেদনের ভিত্তিতে ৫৬৮ জন গ্রাহকের মধ্যে এলপিজি সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাই এ সিলিন্ডার সংগ্রহ করতে পারবেন।এ জন্য লাইসেন্সের মাধ্যমে ভোলায় ছয়জন পরিবেশক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে আবেদনের সঙ্গে এসব গ্রাহককে ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৩০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন কার্ড নিতে হবে।ওই কার্ড দেখিয়ে ৮২৫ টাকা জমা দিলে পরিবেশক সিলিন্ডার দেবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আমিন উল আহসান বলেন,যে ২ হাজার ১০০ গ্রাহক আবাসিক খাতে গ্যাসের সংযোগ নেওয়ার জন্য সরকারি ফান্ডে টাকা জমা দিয়েছেন,কিন্তু গ্যাসের সংযোগ পাননি,তাঁদের ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।এটা শুধু সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির নয়,সব কোম্পানির আবাসিক খাতের গ্রাহকদের গ্যাসের সংযোগ দেওয়া বন্ধ আছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান যখন সিলিন্ডার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছিলেন,তখন কয়েক শ গ্রাহক ও ঠিকাদার বিচ্ছিন্নভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করছিলেন।কয়েক বছর আগে তাঁরা বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ নিতে ঠিকাদার নিয়োগ করে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট,পৌরসভাকে সড়ক কর্তন ফিসহ একেকজন দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানান।অনেকের বাসার সামনে রাইজার বসেছে, পাইপলাইনও টানা হয়েছে।কিন্তু সংযোগ না দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।এমন পরিস্থিতিতে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস বিতরণের উদ্বোধনে তাঁরা ক্ষুব্ধ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আবাসিক খাতে গ্রাহক টাকা জমা দিয়েছেন; কিন্তু তাঁদের গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার সুযোগ হয়নি।তাঁদের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।এখন গ্রাহকদের যে অভিযোগ, তাঁরা দ্রুত গ্যাসের সংযোগ নেওয়ার জন্য সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির লোকজন,ঠিকাদার ও সড়ক কাটার জন্য নির্ধারিত ফি ছাড়াও অনেক টাকা ঘুষ দিয়েছেন।এ ব্যাপারে যদি আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাই,তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম চন্দ্র কুন্ডু,পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক,স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী (আলমগীর),সদস্যসচিব মো. রাইসুল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

















