সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৩:২৫:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও’র এক সমর্থককে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।একই আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) আবু মুসা আনসারীর নির্দেশে ওই সমর্থককে নির্যাতন করা হয় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুলতানপুর ইউনিয়নের শীলবাড়ির মোড় থেকে ভুক্তভোগীকে তুলে নেওয়া হয়।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও’র প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ওই সমর্থকের নাম মো. ইকবাল হোসেন (৩২)।তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

ফিরোজুর রহমান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে আসন্ন নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাঁচি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে হাতকড়া পরিয়ে ৭-৮ জন ব্যক্তি তাকে স্থানীয় একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়।পরে সেখান থেকে কালো রঙের একটি গাড়িতে করে সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুসা আনসারীর বাড়িতে নেওয়া হয়।সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে মুসা আনসারীর নির্দেশে তাকে ‍নির্যাতন করা হয়।এ সময় তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে অস্ত্রসহ র‌্যাবের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ইকবালকে অচেতন করে সুলতানপুর গ্রামের ছাত্রাবাসের বাঁশঝাড়ের কাছে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবারও মুসা আনসারীর লোকজন ভয়ভীতি দেখালে ইকবাল তার খালার বাসায় চলে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন আতঙ্কে আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী মুসা আনসারী বলেন,এসব বিষয় বানানো।মিথ্যা অভিযোগে আনা হয়েছে।আমি কেন কাউকে তুলে আমার বাসায় নিয়ে যাবো।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক বলেন,নির্বাচনের শুরু থেকেই আমাদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে।কর্মীদের নির্যাতন করছে,ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন,রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান,একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content