স্বাস্হ্য ও জীবন পরিচর্যা

বিয়ের আগে রক্তের গ্রুপসহ কিছু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি

  প্রতিনিধি ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ , ২:৫৬:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।বিয়ে মানে বাকি জীবন একসঙ্গে চলার প্রতীজ্ঞা।কার কখন কী হয় সেকথা কে বলতে পারে!তবে আগে থেকে শরীরে কোনো রোগ বা সমস্যা লুকিয়ে থাকলে সেটিও জানা থাকা জরুরি।

আপনার হবু সঙ্গী কোনো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন কি না সেটি জানা থাকা ভালো।এতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।বিশেষ করে রক্তের গ্রুপের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই বিয়ের আগে রক্তের গ্রুপসহ কিছু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা?

রক্তের বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে। যেমন- এ,বি, এবি এবং ও। এর সঙ্গে আছে পজেটিভ বা নেগেটিভ।যেমন- বি পজেটিভ,ও নেগেটিভ।যেকোনো গ্রুপের রক্তের কেউ অন্য যেকোনো গ্রুপের কাউকে বিয়ে করতে পারবেন।কিন্তু পজেটিভ-নেগেটিভের মিলনের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।বিশেষ করে স্ত্রী নেগেটিভ এবং স্বামী যদি পজেটিভ গ্রুপের হলে সন্তান হতে পারে নেগেটিভ বা পজেটিভ রক্তের গ্রুপের।সন্তান নেগেটিভ গ্রুপের হলে সমস্যা নেই,তবে পজেটিভ হলেই বিপদ।যদিও এক্ষেত্রে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কম।সন্তান প্রসবের সময় সন্তানের রক্ত মায়ের শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্নভাবে।ফলে মায়ের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়।এ এন্টিবডি মায়ের শরীরে বাসা বাঁধে।

পরবর্তীতে আরেকটি সন্তান যদি পজেটিভ গ্রুপের হয় তবে সেই এন্টিবডিপ্লাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রুণে প্রবেশ করে তার রক্তকণিকাগুলো ধ্বংস করে ফেলে।তখন গর্ভস্থ শিশু গর্ভেই মারা যেতে পারে।কিংবা জন্মের পর মারাত্মক জন্ডিস, মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন।

স্ত্রীর নেগেটিভ ও স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ হলেও ভয়ের কিছু নেই।এমনটি হলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর তার রক্ত পরীক্ষা করান।সন্তান পজেটিভ হলে মায়ের শরীরে এন্টি-ডি ইনজেকশন দিয়ে নিতে হবে,অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শে।

মানসিক রোগ আছে কি না?!

মানসিক রোগকে খুব একটা বড় করে দেখা হয় না।কিন্তু এটি মোটেও হেলাফেলার বিষয় নয়।মানসিক সমস্যা হলে অনেক সময় সেই রোগীকে তার পরিবার বিয়ে করিয়ে দেয়,সব ঠিক হয়ে যাবে এই আশায়।এভাবে কিছু ঠিক হয় না।বরং সমস্যা আরও বাড়ে।তাই মানসিক রোগ আছে কি না তা জেনে নেওয়া জরুরি।আপনার যদি আগে এ ধরনের রোগ থেকে থাকে এবং পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে থাকেন তবে সেটিও হবু সঙ্গীকে জানাতে ভুলবেন না।

এইডস!

যদিও আমাদের দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি নয় তবে ঝুঁকিমুক্ত থাকাই উত্তম।অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচারের কারণে দেখা দিতে পরে এইডস।সেইসঙ্গে হতে পারে সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি,সি,গনোরিয়াসহ নানা অসুখ।সঙ্গীর যেকোনো একজনের এই অসুখ থাকলে তা ছড়াবে অপরজনের শরীরেও।তাই আগেভাগে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই উত্তম।

সিমেন পরীক্ষা?

বন্ধ্যাত্ব হতে পারে নারী কিংবা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই।তাই বিয়ের আগেই পুরুষের সিমেন পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। সেইসঙ্গে দুজনের রক্তের হরমোন যেমন এফএসএইচ, টিএইচএস,টেস্টেটেরোন,ইস্ট্রোজেন,প্রোল্যাকটিন পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।নারীর ক্ষেত্রে জরুরি পেলভিক আলট্রাসনোগ্রাম।এতে বিয়ের পরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেছে নেওয়া সহজ হয়।

আরও খবর

Sponsered content