সারাদেশ

বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল গ্রাউন্ড হ্যান্ডিলিংয়ের কাজ করবে-জাপান

  প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২৩ , ৫:৫১:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের (তৃতীয় টার্মিনাল) গ্রাউন্ড হ্যান্ডিলিংয়ের কাজ জাপান করবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.মফিদুর রহমান।

তিনি বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। তাদেরকেই এ কাজ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের কাজ দেয়ার জন্য কী ধরনের শর্ত দেয়া হবে সেটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।

শনিবার (১৫ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) আয়োজিত ‘এটিজেএফবি ডায়ালগ’ এ এই তথ্য জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে উড়োহাজার কেনা প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের বহর বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন ও কার্গো সক্ষমতা বাড়াতে বলেছেন। এ কারণেই এয়ারক্রাফট কেনা হবে।

ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন,আমরা চেয়েছিলাম অক্টোবরের মধ্যে নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু করতে।তবে ফ্লাইটের অনুমতির ক্ষেত্রে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে হয়।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সময়মত আবেদন না করায় প্রক্রিয়াটা পিছিয়ে গেছে।

হেলিকপ্টারের অপারেটরদের হ্যাংগারের ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে মো.মফিদুর রহমান বলেন,হেলিকপ্টার খাত দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।আমরা তাদের স্বল্প ভাড়া নির্ধারণ করেছি।যেহেতু এটা সরকারি জায়গা,পৃথিবীর কোন দেশেই এগুলো ফ্রিতে দেয় না,তাই আমরাও ভাড়া নির্ধারণ করেছি। তবে তাদের ভাড়া অনেক কম ধরা হয়েছে।

বিমানবন্দরের কর্মীদের আচরণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আচরণের বিষয়ে বিমানবন্দরে কর্মরতদের এ পর্যন্ত ১৯ টি ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক নিজে দরবার করে তাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।যারা খারাপ ব্যবহার করছেন তাদের সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানাও করা হচ্ছে।

বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনাকে আরও নমনীয় করতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু,মুক্তিযোদ্ধা,বৃদ্ধ ও শিশুদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে সার্ভিস দিতে বলা হয়েছে বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাব করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন,আমরা ম্যাস্টার প্ল্যান করে কাজে নেমে গিয়েছিলাম।জায়গা অধিগ্রহণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।কিন্তু এজন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন।বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকার প্রায়োরিটিতে রাখতে পারেনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য (এটিএম) শাহ কাউসার আহমেদ চৌধুরী,সদস্য (প্রশাসন) মো. মাহবুব আলম তালুকদার,সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী, প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক।

আরও খবর

Sponsered content