লেখক ও কলামিস্ট এবং মন্তব্য কলাম:-

বাসর রাতে সহবাসের পর রক্তক্ষরণ হলো না কেনো?

  প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:২৪:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।বাসর রাতে সহবাসের পর রক্তক্ষরণ হলো না কেনো?অসত্বী কথাটা বলেই রিয়াকে খাট থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় মেঝেতে।রিয়া নিস্তব্ধ।তার মুখে কোনোই কথা নেই।এতকিছু হয়ে গেল তার সাথে তবু সে টু শব্দও করেনি।

এদিকে রিয়াদ এসে রিয়ার হাত ধরে টানতে টানতে রুম থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে।বাড়ির সবাই এই দৃশ্য দেখে নানান রকম প্রশ্ন করলেও কারো প্রশ্নেরও জবাব সে দেয়নি।রিয়াকে নিয়ে সোজা চলে আসে তার শশুড় বাড়ি।

এত সকালে মেয়ে আর নতুন জামাইকে দেখে রিয়ার বাবা মা অবাক হয়ে যায়!

এদিকে রিয়াদ রিয়ার হাতটা ছেড়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় মাটিতে।বলতে শুরু করে….আপনাদের মেয়েকে দিয়ে গেলাম।আপনাদের কাছেই রাখুন।যে মেয়ে কিনা বিয়ের আগে তার সতীত্ব বিলিয়ে দেয়,তার জায়গা এই রিয়াদ চৌধুরীর বাড়িতে নেই।

রিয়ার বাবা কথা গুলো শুনে যেনো আকাশ থেকে পড়ল। কাকুতি মিনতি করে বলতে লাগলো…. দেখো বাবা কোথাও হয়তো ভুল হচ্ছে।আমাদের মেয়েকে আমারা এই শিক্ষা দিয়ে মানুষ করিনি!

ঠিকই বলছি,কি করে সাহস হয় এই নষ্টা মেয়ের আমার সাথে বিয়ে দেয়ার?কাল ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিব যেন সই করে পাঠিয়ে দেয়।

কথাগুলো বলে রিয়াদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে গেল।এদিকে এখনো রিয়ার মুখে কোনো কথা নেই।চুপ করে বসে আছে।রিয়ার বাবা মা তাকে এমনভাবে বসে থাকতে দেখে তার কাছে গেল।রিয়ার মা কাদতে কাদতে বলতে লাগলো….যে মেয়ে আমার অবৈধ সম্পর্ক তো দূরের কথা কখনও কোনো অপরিচিত পুরুষের সাথে কথা পর্যন্ত বলেনি তার নামে এমন অপবাদ।যার হাজারও কল্পনা,স্বপ্ন ছিল যে স্বামী নিয়ে আজ সেই স্বামীই তারে এমন মিথ্যা অপবাদ দিল?

রিয়া মায়ের হাতটা ধরে বলতে লাগলো….তুমি কিচ্ছু ভেবো না মা,সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।আর বাবা?তুমি যত দ্রুত সম্ভব এই শহর ছাড়ার ব্যাবস্থা কর।আমার দূরে কোথাও চলে যাবো——।

কয়েক দিনের মধ্যে রিয়ারা অন্য শহরে চলে যায়।পেরিয়ে যায় দশটা বছর।রিয়ার পড়াশোনা শেষ হয়েছে।এখন সে এই শহরের একজন নামকরা গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।চেম্বারে বসেছিল।হঠাৎ তিনটা লোক রুমে প্রবেশ করলো।
রিয়া সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে গেল।কারণ তাদের তিন জনের মধ্যে একজন ছিল???

চলবে.—–

আরও খবর

Sponsered content