প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:১৯:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।নয়টা টু পাঁচটার এ যুগে প্রতিদিন রান্না করা সম্ভব হয়ে উঠে না।গরম গরম রান্না করে সঙ্গে সঙ্গেই খাওয়ার দিন আর নেই।প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এই একই কাহিনী।তাই সমাধানও একই।একদিন বেশি রান্না করে ফ্রিজে তুলে রাখা।পরের কয়েকদিন সেই খাবার ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করে খাওয়া।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন,বারবার গরম করার ফলে কিছু খাবার বিষে পরিণত হয়ে ক্যানসারসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।বারবার গরম করার ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনই নানা রকম রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।
কোন কোন খাবার কখনওই দ্বিতীয়বার গরম করে খাওয়া উচিত না, তা জেনে নিন-
ভাত:-অধিকাংশ বাঙালির পেটে দুবেলা ভাত না পড়লে রাতে ভালো করে ঘুম আসে না।কিন্তু এই ভাত দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে হতে পারে ডায়রিয়ার মতো ভয়ংকর রোগ।সঙ্গে বেড়ে যেতে পারে বমি বমি ভাব।বিশেষজ্ঞদের মতে,ভাত যত ঠান্ডা হয় তাতে তত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়।সেই ঠান্ডা ভাত যখন আবার গরম করা হয় তখন ওই ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব বেড়ে যায়।ফলে তা শরীরে নানা রকম রোগের জন্ম দেয়।
আলু:-কিছু গবেষণায় দেখা গেছে,আলু যদি বারবার গরম করে খাওয়া হয় তাহলে পেটের সমস্যা বেড়ে যায়।তাই আলুর তরকারি বা আলু দিয়ে তৈরি কোনো খাবারই বারবার গরম করে খাওয়া উচিত না।
ডিম:-ডিমে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে।তাই ডিম বারবার গরম করে খেলে প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়।এছাড়া ডিমে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্মায়।যা পেটে নানা রোগ সৃষ্টি করে।
মুরগির মাংস:-মুরগির মাংসেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাই একবার রান্নার পর মাংস আবার গরম করলে প্রোটিনের বন্ডিংগুলো ভেঙে যায়।ফলে বদহজমের সম্ভবনা বেড়ে যায়।
পালংশাক:-বিশেষজ্ঞরা জানান,পালং শাক একাধিকবার গরম করে খেলে শরীরে কার্সিনোজেনিক প্রোডাক্টের (ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান) পরিমাণ বেড়ে যায়।পালংশাকে নাইট্রেট থাকে। রান্না করার পর আবার গরম করলে তা শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
তেল:-রান্নায় তেল একটি অপরিহার্য উপাদান।অ্যাভোগাডোর তেল (ভেজিটেবল বাটারও বলা হয়),সয়াবিন তেল, আখরোটের তেল ইত্যাদি দিয়ে রান্না করলে খেতে যেমন সুস্বাদু হয় তেমনই এর সমস্যাও আছে।এই তেল দিয়ে বানানো খাবার দ্বিতীয়বার গরম করলেই একটা বিকট (বাজে) গন্ধ বের হওয়াসহ পেটের নানা রোগ হতে পারে।

















