সারাদেশ

বাকেরগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান-পল্লি চিকিৎসকের জরিমানা

  প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১:৩৩:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি।।বরিশালের বাকেরগঞ্জে ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং কলসকাঠী ইউনিয়নে এমবিবি এস পাস না করেও দীর্ঘদিন ধরে সকল রোগের চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগে মোঃ আবু বকর (শামীম) নামে এক পল্লী চিকিৎসককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমান আদায় করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করার অপরাধে এই জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুজর মোঃ ইজাজুল হক।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে পল্লী চিকিৎসরা নিজেদেরকে ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করছেন বলে জানা গেছে।প্যাডে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে।

এমবিবিএস চিকিৎসকের পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসরাও চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।

মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্যই পল্লী চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে চিকিৎসা দেন। পল্লী চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা সেবা দেবার বিধান থাকলেও ডাক্তার পরিচয় তুলে ধরার নিয়ম নেই।

কিন্তু পল্লী চিকিৎসকগণ এই বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের প্রেসক্রিপশন প্যাডে নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং কলসকাঠী ইউনিয়নের বাজারে গিয়ে দেখা যায় এমন প্রতারণার নতুন ফাঁদ। এই বাজারের পল্লী চিকিৎসক মোঃ আবু বকর (শামীম) নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা প্রদান করছেন।

তিনি নিজেকে বিভিন্ন বিয়ষে পারদর্শি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সকল প্রকার চিকিৎসা প্রদান করছেন। চিকিৎসা সেবা দেবার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন এমন নিয়ম নেই। তবে ব্যবসা করার জন্যই এমনটা করছেন। তবে মানুষের কোন ক্ষতি হচ্ছেনা।

সরেজমিনে আরো দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের মোশাররফ হোসেন চৌধুরী সেবা সদনে এবং যায়েদ মেডিকেল হলে চেম্বার খুলে বসেন পল্লী চিকিৎসক মোঃ আবু বকর (শামীম)। দীর্ঘদিন যাবত তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

কেন ডাক্তার পরিচয় দেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি প্যাডে ডাক্তার লিখিনি। এটা কোম্পানীর পক্ষ থেকে লিখে দিয়েছে। শুধু আমি না অনেকেই এমন রয়েছেন।এই পল্লী চিকিৎসক আরো বলেন, ডাক্তার পরিচয় তুলে ধরার নিয়ম নেই। কিন্তু আমরা নিজেদের ডিমান্ড বাড়ানোর জন্য করে থাকি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির লোক, পল্লী চিকিৎসকদের কোম্পানি থেকে টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের গিফট দেন এজন্যই তারা এন্টিবায়োটিক ঔষধও লিখে দেন রোগীদের। আর এই গিফট দিয়ে ঔষধ লেখার জন্য এক ধরনের প্রতিযোগিতা কাজ করে মার্কেটে।

এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জর মোঃ ইজাজুল হক গণমাধ্যমকে জানায় ডেন্টাল আইন ২০১০ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং বিএম এ্যান্ড ডিসির নিবন্ধনের পূর্বে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখব মর্মে অঙ্গীকার নামা নেওয়া হয়েছে।সব ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content