সারাদেশ

বাকেরগঞ্জে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা-গ্রেফতার ৩

  প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:৫৮:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

বাকেরগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি।।বরিশালের বাকেরগঞ্জে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি) সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বুধবার তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপুর এলাকার ২২ বছর বয়সী তৌকির মোল্লা, ২০ বছর বয়সী রাতুল মোল্লা ও ৪৩ বছর বয়সী মহিউদ্দিন মোল্লা।

বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান,গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাকেরগঞ্জের ইছাপুর এলাকায় ফরিদপুরের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা হত্যা করে এবং সড়ক সংলগ্ন একটি বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

তিনি আর জানান, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) ফরহাদ সরদারের নেতৃত্বে বাকেরগঞ্জ থানার পুলিশ জেলা ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান শুরু করে।

বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে তৌকির মোল্লার বাসা থেকে একটি চাপাতি, রাতুল মোল্লার বাসা থেকে একটি ছুরি ও একটি চাপাতি এবং উভয়ের তথ্যানুযায়ী একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।

অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সোর্পদ করে গ্রেপ্তারদের রিমান্ড চাওয়া হবে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেটুকু জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পেছনে। আবার ঘটনার সময় একাধিক দুর্বৃত্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশে থাকলেও চারজন হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত করে। যার মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন রয়েছে।

‘এমনকি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর সময় দুর্বৃত্তদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে নিজেদের ছুরির আঘাতে গ্রেপ্তার রাতুল মোল্লা গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। যাকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসার আওতায় আনতে হয়েছে পুলিশকে।’

ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে জানিয়ে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যাকে হত্যা করা হয়েছে তার নামে ১২টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অপরদিকে তৌকির মোল্লার নামে ২টি, রাতুল মোল্লার নামে ৩টি ও মহিউদ্দিন মোল্লার নামে ৪টি মামলা রয়েছে।’

আরও খবর

Sponsered content