প্রতিনিধি ৩ জুলাই ২০২৫ , ৩:২৩:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিদেশী উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ ও রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি বেড়ে জুন শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে।তবে এই ইতিবাচক পরিস্থিতির মাঝেই সামনে এসেছে বড় বিল পরিশোধের চাপ।আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশকে ২.০২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে আন্ত দেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আকুর পুরোনো বিল।ফলে নিট রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে যেতে পারে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে আকুর বিল পরিশোধ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এটার পরিমাণ কত তা এখনো নিশ্চিত নয়। ’
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকু হলো তেহরানভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান,যা ভারত,বাংলাদেশ,ভুটান,ইরান,মালদ্বীপ, মায়ানমার,নেপাল,পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—এই ৯টি দেশের মধ্যে লেনদেন নিষ্পত্তিতে কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে,গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার।
আগামী সপ্তাহে আকুর বিল পরিশোধ হওয়ার পর গ্রস রিজার্ভ কমে ২৯.৬৬ বিলিয়ন ডলারে নামতে পারে।তবে বিল পরিশোধ হলেও দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভে কোনো পরিবর্তন আসবে না।বর্তমানে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ বা এনআইআরের পরিমাণ ২০.৬৯ বিলিয়ন ডলার।
কেন আকু বিল পরিশোধের পরও এনআইআরে প্রভাব পড়বে না জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন,মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী এক বছরের মধ্যে কী পরিমাণ বিল পরিশোধ করবে তা রিজার্ভ থেকে বাদ দেওয়ার পরই নিট রিজার্ভ হিসাব করা হয়।
এ জন্য আকুসহ অন্যান্য বিল পরিশোধে নিট রিজার্ভে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসে না।তবে রিজার্ভ থেকে যদি ডলার বিক্রি হয়,বা সরকার তার কোনো প্রজেক্টে ডলারে বিনিয়োগ বা ঋণ দেয় তাহলেই নিট রিজার্ভে প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে,বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস অন্তর আকুর বিল পরিশোধ করে থাকে।সর্বশেষ ৬ মে মার্চ ও এপ্রিল মাসের আমদানির জন্য ১.৮৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল,যার ফলে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের অর্থ ডলারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় রিজার্ভ প্রায় চার বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
এ জন্য আকুর বিল পরিশোধের পরও বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ থাকবে ২৪.৬৪ বিলিয়ন ডলার।তবে গত ৩০ জুন পর্যন্ত এই রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬.৬৬ বিলিয়ন ডলার।

















