ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানি খাতে নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে-বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী,গোলাম দস্তগীর গাজী

  প্রতিনিধি ১৮ জুলাই ২০২৩ , ৪:১৫:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানি খাতে নগদ সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি পাটখাতের অংশীজনদের নীতিসহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন,বাংলাদেশের পাট খাতকে সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগী পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে।এ ছাড়া বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানি খাতে নগদ সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি পাট খাতের অংশীজনদের নীতিসহায়তাও দেয়া হচ্ছে।

পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,এ জন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁচা পাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত হতে বিরত রাখা,ভেজা পাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা, বাজারে কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাট অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ সময় মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন,পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ অনুযায়ী,১৯টি পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে।এসব পণ্যে কেউ যদি প্লাস্টিক ব্যবহার করে,তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।

দেশব্যাপী সারা বছর অভিযান চলমান থাকলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে বিজেএসএ-র প্রতিনিধিরা জানান,পাট খাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রফতানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

কোভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর পাটকেন্দ্রিক নীতির কারণে পাট ও পাটপণ্যের রফতানি বাণিজ্যের গতি শ্লথ রয়েছে বলেও জানান তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন,দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট সরবরাহ নিশ্চিতে এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সবসময় পাটের বাজারদর পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।পাট চাষ নিশ্চিতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বেড়েছে। ফলশ্রুতিতে পাটকলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে,যা রফতানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন,এ বছর পাট মৌসুম শুরু হয়েছে।দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা পাট বাজারে আসতে শুরু করেছে।এ মৌসুমে কাঁচা পাটের উৎপাদনও সন্তোষজনক।

পাটচাষিরা ভালো পাটের ভালো দাম পাবেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,কোনো কারণে যেন কাঁচা পাটের দাম অসহনীয় না হয়,সে জন্য সবসময় কাঁচা পাটের বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ কফিল উদ্দিন,বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. মাহমুদ হোসেন,আকিজ জুট মিলস লি.-র চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিনসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content