জাতীয়

বস্ত্র নিতে আসা কেউ কী ভাষণ শুনেছে? নাকি শুনতে এসেছে-ওবায়দুল কাদের

  প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ , ১:২৩:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।শীতবস্ত্র বিরতণ কার্যক্রমে ভাষণ দেওয়াকে যথার্থ বলে মনে করেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ অন্যদের বক্তব্য নিয়ে এক কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন,“পাঁচজন না ছয়জন ভাষণ দিয়েছে,আর কেউ আছে ভাষণ দেওয়ার?বস্ত্র নিতে আসা কেউ কী ভাষণ শুনেছে?নাকি শুনতে এসেছে।

“ফেরদৌস তার নায়কের ভঙ্গিতে যেভাবে বলেছে,এটা কি এরা বোঝে? এসব ভাষণ বোঝার ক্ষমতা এদের কারও নেই। এরা শীতবস্ত্রের জন্য এসেছে।এরা ভাষণ শোনে না।”

শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটি।

এই কার্যক্রম শুরুর আগে ফেরদৌসসহ কয়েকজন বক্তব্য দেন।একপর্যায়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মাইকের সামনে আসেন।

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে শুক্রবার শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।

তিনি বলেন, “অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র দিতে ডেকে আনলাম,তাদের বক্তব্য শোনানোর দরকার কী?এখানে কি কেউ শুনতে এসেছে?তাহলে এটাতো রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বার্থপরতার চিহ্ন রেখে দেওয়া হলো।এটা ঠিক নয়।যখন আমরা শীতবস্ত্র দিতে ডাকব,তখন শীতবস্ত্রটাই দেব।এখানে ভাষণ দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।”

তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নপর্ব নিয়ে আপত্তি নেই বলে জানান কাদের।

তিনি বলেন, “সাংবাদিকরা যারা আছেন তারা প্রশ্ন করতে পারেন।সেটা রাজনৈতিক প্রশ্নও হতে পারে।শীতার্তদের বস্ত্র দেয়ার মধ্যেই সীমিত রাখাই ভালো।”

যদিও পরে ওবায়দুল কাদের কিছু কথা বলেন,যার বেশিরভাগই ছিল বিএনপির সমালোচনা করে।

দলটির উদ্দেশে তিনি বলেন,“মানুষের রুটি-রোজগারের বাধা দেবেন,হরতাল অবরোধের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করবেন,এটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।”

আরও খবর

Sponsered content