প্রতিনিধি ২৬ জুন ২০২২ , ১২:১৬:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:-পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণের জেলা বরিশাল থেকে ঢাকায় আসতে অনেকটা সময় বাঁচবে। তবে কতটা সময় বাঁচবে, বাধাহীন যাত্রা করে কতটুকু সময়ে ঢাকা-বরিশাল যাতায়াত করা যাবে- এ নিয়ে একটা বিতর্ক ছিল। তবে অধিকাংশের মত ছিল- বাসে ঘণ্টা চারেকের মতো লাগবে।
বাস্তবতা হলো- চার ঘণ্টা নয়, তিন ঘণ্টারও কম সময়ে বরিশাল থেকে বাসযোগে ঢাকায় চলে এসেছেন সাইফুল ইসলাম রাজু নামে এক আলোকচিত্রী। বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে রোববার সকালে বাসে যাত্রা করে ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে এসে পৌঁছেছেন তিনি।
আগে বরিশাল থেকে রাত ১০টায় ছেড়ে আসা কোনো বাস ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পরদিন ভোর ৪টা বেজে যেত। সে হিসাবে একজন যাত্রীর সময় ব্যয় হতো ৬ ঘণ্টা। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সেই সময় কমে এসেছে তিন ঘণ্টারও বেশি।
আর বরিশাল থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে লঞ্চ ছাড়লে পরদিন ভোর ৪টার দিকে সেটি ঢাকার সদরঘাটে এসে পৌঁছায়। সে হিসাবে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসতে একজনের সময় লাগে ৭ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
বরিশাল থেকে রোববার ভোরের প্রথম ট্রিপে ঢাকায় আসা সাকুরা পরিবহনের বাস ও এর যাত্রী সাইফুল ইসলাম রাজু।
সাইফুল ইসলাম রাজু বলেন, ‘আমার বাসা বরিশালের নথুল্লাবাদে। পদ্মা সেতু সাধারণের যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয় আজ (রোববার) ভোরে। সাকুরা পরিবহনের নতুন শিডিউলে প্রথম ট্রিপ ছিল ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে। প্রথম ট্রিপের প্রথম কোচে আমি নথুল্লাবাদ থেকে বাসে উঠি।
‘কিছু যাত্রী আসতে দেরি করায় ৫টা ৪৪ মিনিটে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ত্যাগ করে সাকুরা পরিবহনের বাসটি। নন-এসি বাসের ভাড়া ৪২০ টাকা আর এসি বাসের ভাড়া ৬০০ টাকা। আর অনলাইনে টিকিট কাটলে সেই চার্জটা ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হয়।’
পদ্মা সেতু পার হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘বাসটি পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে ওঠার পরই যাত্রীরা সবাই আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে যান। সবার দৃষ্টি বাসের বাইরে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে সবাই এদিকে-ওদিক তাকাতে থাকেন। একই সঙ্গে যাত্রীরা বলছিলেন- ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী, জয় বাংলা।’