প্রতিনিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১২:৪১:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
রবিউল ইসলাম রবি॥দায়েরকৃত মামলার এজাহার ও তদন্ত প্রতিবেদনের চার্জশিটভুক্ত আসামীরা আদালতে বসেই প্রকাশ্যে সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।গত ৯ ফেব্রুয়ারী বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ৪র্থ তলায় বিচারাধীন ওই মামলার সাক্ষী দেয়ার দিন এ ঘটনা ঘটে।এমন অভিযোগ এনে গত ৯ ফেব্রুয়ারী বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডাইরী (জিডি) দায়ের করেছেন নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোড এলাকার বাসিন্দা সুরাইয়া আক্তার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,দাবীকৃত চাঁদার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে নগরীর কাউনিয়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা মিলে ’আলিফ টেলিকম’ নামক মোবাইল ও মোবাইল সার্ভিসিং এর প্রোপাইটার মোঃ আলমগীর খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করার পাশাপাশি পায়ের রগ কর্তন করে। ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল রাত ১১ টায় নগরীর কাউনিয়া বিসিক বেঙ্গল বিস্কুট সংলগ্ন আহত আলমগীর খান এর ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটেছিল।সন্ত্রাসী নুরুল মোমেন কোটন,বারেক হাওলাদার ও সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুনসহ তাদের সহযোগিরা ’আলিফ টেলিকম’ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।স্থানীয়রা আহত আলমগীর কে আংশকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে ২০১৮ সালের ১ মে আহত আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার উপরোক্ত ঘটনা তুলে ধরে বরিশাল কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যার নং ১/১২১। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার এস আই গোবিন্দ চন্দ্র দাস ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার এজাহার ও চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী হলেন,বশির খান ও তার স্ত্রী ঝুমুর বেগম।আদালতের সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য্য তারিখের দিন এ দুই সাক্ষীকে আসামী কোটন ও মামুন প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়।আদালতে সাক্ষী দিতে বারণ করে।এ ঘটনার অনুকূলে সুরাইয়া আক্তার থানায় জিডি (নং-৫২৬) করেন এবং সাক্ষি ঝুমুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
’আলিফ টেলিকম’ এর প্রোপাইটার মোঃ আলমগীর খান বলেন,বর্তমানে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে সাক্ষি বশির খান ও তার স্ত্রী ঝুমুর।তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আতংকের মধ্যে পরিচালনা করছে।দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করছে নুরুল মোমেন কোটন,বারেক হাওলাদার ও সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুনসহ তাদের সহযোগিরা।এদের নেতৃত্বে মাদক ও জুয়াসহ নানা অপরাধ চলমান রয়েছে।
স্থানীয় এক সূত্র জানায়,বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বিসিসির মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের শ্যালক নগরীর ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুন।তিনি তার দুলাভাইয়ের শেল্টারে ১নং ওয়ার্ডকে নরক রাজ্যে রুপান্তিত করেছিল।এমনকি মামুন কাউন্সিলর হবার পরই অপরাধ অপকর্মে প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। সরোয়ারের শেল্টারে রয়েছে তার শ্যালক মামুন আর মামুনের শেল্টারে রয়েছে নুরুল মোমেন কোটন ও বারেক হাওলাদারসহ এলাকার সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরাসহ জুয়ারীরা।

















