আন্তর্জাতিক

বন্দরনগরী দখলে নেওয়া দাবি করেছে দেশটির জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি

  প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ , ৪:২৮:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দরনগরী দখলে নেওয়া দাবি করেছে দেশটির জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দুই মাসের বেশি সময় ধরে তীব্র সংঘর্ষের পর শহরটি দখলে নেওয়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে।গত বুধবার রাতে আরাকান আর্মি বলেছে,মিয়ানমারের পশ্চিমে রাখাইন রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী পাউকতাওয়ের পুরোপুরি দখল নিয়েছে তারা।খবর এএফপির

পাউকতাও ২০ হাজার মানুষের একটি শহর।রাখাইনের রাজধানী সিত্তের গুরুত্বপূর্ণ গভীর সমুদ্রবন্দরের খুবই কাছে এই শহর। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিদ্রোহীদের দাপটে সেখানে এক পর্যায়ে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি হয়।কিন্তু সেই চুক্তি ভঙ্গ করে গত নভেম্বরে পাউকতাও শহর আংশিক দখলে নেয় আরাকান আর্মি।তখন থেকেই এই বন্দরনগরীতে নিয়মিতভাবে স্থল হামলা এবং নৌবাহিনীর জাহাজ ব্যবহার করে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল সামরিক জান্তা।একই সঙ্গে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে গুলি করত।

পাউকতাওয়ের নতুন কিছু ছবি পাওয়া গেছে গুগল আর্থে। সেখানে দেখা যায়,শহরের অনেক এলাকা বিধ্বস্ত।থানার বেশ কয়েকটি ভবনও বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখা গেছে।এই শহরের বাইরের দিকে একটি ‘ব্লক’ বা অবরোধও দেখা গেছে।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে আরাকান আর্মির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে,শহরে তাদের যোদ্ধারা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার জান্তা সরকার ওই শহরে সংঘর্ষ চলার খবর জানায়।এসব সংঘর্ষ ও যুদ্ধ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সামরিক জান্তা।নভেম্বরে জাতিসংঘ জানায়,যুদ্ধের কারণে ওই এলাকায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ।

রাজ্যটির রাজধানী সিত্তে থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বদিকে এই পাউকতাও শহর।সেখানে যে গভীর সমুদ্রবন্দর আছে,তাতে ভারতের অর্থায়ন রয়েছে।কারণ,দেশটি মিয়ানমারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে চেয়েছে। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে মিয়ানমারের চেম্বার্স অব কমার্স ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের একটি দলের সঙ্গে সিত্তের এই বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন করা নিয়ে আলোচনা করেছে।

বৃহস্পতিবার পাউকতাওয়ের একজন বাসিন্দা বলেন,সিত্তে ও পাউকতাওয়ের মধ্যে চলাচল সামরিক বাহিনীর গেট ও চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content