শিক্ষা

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শরমিলা আক্তার নামে এক ছাত্রীর নাম পৃথক তিনটি স্থানে এসেছে

  প্রতিনিধি ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ , ১:০২:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

বগুড়া প্রতিনিধি।।বগুড়ার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি লটারিতে এক ছাত্রীর নাম এসেছে তিনটি পৃথক জায়গায়। এর ফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে অভিভাবক মহলে।তবে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলছেঅভিভাবকের কূটকৌশলের কারণে এবং সফটওয়্যারের দুর্বলতায় এমনটি হয়ে থাকতে পারে।

এর আগে গতকাল সোমবার একযোগে দেশের সব সরকারি বিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি লটারির ফলাফল প্রকাশিত হয়।বিকেল ৫ টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয় অনলাইনে ও স্কুলের নোটিশ বোর্ডে।

ফলাফলে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শরমিলা আক্তার নামে এক ছাত্রীর নাম পৃথক তিনটি স্থানে এসেছে। সে মেধা তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে।

শরমিলার নাম ও ছবির সঙ্গে তিনটি জন্মনিবন্ধন নম্বর: ২০১৪১০১২১৭৭১০৯৭৮৭, ২০১৩১০১৮৪৫৩১০৫৩৬৪ ও ২০১৪১০১২০৭৭১০৯৭৮৭ ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার আবেদনের সময় করা ইউজার আইডিতে ভিন্নতা রয়েছে। মেধা তালিকার প্রথম নম্বরে ‘GVQFIEOIBV, ২য় নম্বরে ‘ GVQZTEBDED’ ও ষষ্ঠ নম্বরে ‘GVYEHBLBCP’ ইউজার আইডি ব্যবহার করেছে আবেদনকারী৷ তবে শরমিলার পিতার নাম শফিকুল ইসলাম, মাতার নাম নাছিমা আকতার ও মুঠোফোন নম্বর ০১৭১২৯৫৩১৮৮ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও ক্লাস ও শিফট দিবা শাখা হুবহু মিলে রয়েছে।

সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এক ছাত্রী তিনবার লটারিতে সুযোগ পাওয়ায় আমরাও বিব্রত। তার মেধাতালিকার ইউজার আইডি তিনবারই ভিন্ন হওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত তার অভিভাবক কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সফটওয়্যারে দুর্বলতাও থাকতে পারে।কেন্দ্রীয়ভাবে এই কার্যক্রম পরিচালতি হওয়ায় এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারবো না।তবে ভর্তির ক্ষেত্রে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়।এক্ষেত্রে ওই ছাত্রীর কোন ত্রুটি থাকলে আইন অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ বাতিল হবে।পাশাপাশি ওয়েটিং লিস্ট থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে।

এদিকে ওই ছাত্রীর আবেদনে দেওয়া মুঠোফোন নম্বর ধরে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন বলেন,আজকে আমাদের কমিটির একটি মিটিং আছে।এবিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার ৭৭৯ ছাত্রী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন করে। তাদের মধ্য থেকে প্রভাতী ও দিবা শাখায় ২০৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

আরও খবর

Sponsered content