অপরাধ-আইন-আদালত

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আত্মসাত-পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৮জন কারাগারে

  প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২৩ , ১:১৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় পুলিশের চাকরিচ্যুত এ এস আই মাসুম শেখসহ আট আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল জহিউর রহমান,প্রেমের ফাঁদে ফেলা নারী শাহনাজ,মাসুদুর রহমান মিলন,রিমা আক্তার,আব্দুস সালাম, নাজমুল হাসান ও শওকত আলী।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রিমান্ড শেষে আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মুন্সী আব্দুল লোকমান তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ভুক্তভোগী রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন।মামলার পর গত ১৭ আগস্ট সালাম,নাজমুল,মাসুম ও শওকতকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।পরদিন ১৮ আগস্ট আদালত তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এরপর আসামি শাহনাজ, জহিউর,মিলন ও রিমাকে গ্রেফতারের পর গত ২১ আগস্ট তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়,এক বছর আগে বন্ধুর মাধ্যমে আসামি শাহনাজের সঙ্গে ভুক্তভোগী তাজুলের পরিচয় হয়। পরে তাদের হোয়াটসঅ্যাপে কথা হতো।মাঝে মধ্যে শাহনাজ তার বিভিন্ন অসহায়ত্বের কথা বলে টাকা সাহায্য চাইলে তাজুল বিকাশে টাকা পাঠাতেন।গত ১৫ আগস্ট শাহনাজ তাকে কল করে উত্তরা পূর্ব থানার একুশে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে যেতে বলেন।সেখানে গিয়ে তাজুল দেখা করেন।একপর্যায়ে শাহনাজ তাকে যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যেতে চান।সিএনজি ভাড়া করে মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালের সামনে পৌঁছান।এরপর শাহনাজ তাকে তার বাসার দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে নিয়ে যান।সেখানে দুজন উপস্থিত হন এবং তারা শাহনাজের বান্ধবী বলে পরিচয় করে দেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়,অজ্ঞাতপরিচিত ৫-৬ জন পুরুষ তার বসার কক্ষে প্রবেশ করেন এবং তারা নিজেদের ডিবি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেন।তাদের মধ্যে কয়েকজন হঠাৎ ভুক্তভোগীকে মারধর শুরু করেন।তার কাপড় খুলে ফেলা হয়।এরপর তাদের মধ্যে কেউ একজন তাকে উলঙ্গ অবস্থায় মহিলাদের পাশে দাঁড় করে ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করেন।পরে তার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। তার কাছে থাকা ৬ হাজার টাকা,ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড জোরপূর্বক হাতিয়ে নেন।ভুক্তভোগী প্রাণনাশের ভয়ে তাদের দুটি কার্ডের পিন কোড দিয়ে দেন।

আরও খবর

Sponsered content