অপরাধ-আইন-আদালত

পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় হাতেনাতে ইব্রাহিম আলীকে ধরে আরেক পুলিশ সদস্যকে আটক

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২৩ , ৬:৫২:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি।।ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় আকাশ ভূঁইয়া নামে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ইব্রাহিম আলী (৩৫) নামে আরেক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।এ সময় পুলিশ সদস্য আকাশ ভূঁইয়ার স্ত্রীকেও (৪০) আটক করা হয়েছে।

শনিবার (৬ মে) সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার একটি মহল্লা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আকাশ ভূঁইয়া গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও খুলনা পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে আচক ব্যক্তিও একজন পুলিশ কনস্টেবল।তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানিহাটি এলাকার বাসিন্দা।

তবে তিনি কোথায় কর্মরত আছেন তা জানায়নি পুলিশ।তিনি পুলিশ কনস্টেবল আকাশ ভূঁইয়ার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক।
বোয়ালমারী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর মান্নান মোল্লা বলেন,যে নারীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সদস্য ইব্রাহিম আটক হয়েছেন তিনি ওই নারীর পরকীয়া প্রেমিক বলে জেনেছি।ওই নারীর চতুর্থ স্বামী ছিলেন কনস্টেবল আকাশ।আগের ঘরে ওই নারীর ১৭ বছরের একটি ছেলেও আছে।তবে আকাশের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর এই দম্পতির কোনো সন্তান হয়নি।

তিনি বলেন,ওই নারী স্বামীর সঙ্গে তার কর্মস্থলে থাকতেন না। তিনি বাবার বাড়ি বোয়ালমারীতে থাকতেন।সেই সুযোগে পরকীয়া প্রেমিক ইব্রাহিম আলী মাঝে মাঝেই ওই বাড়িতে এসে তার সঙ্গে রাত্রিযাপন করতেন।গত শুক্রবার (৫ মে) তারা একই ঘরে রাত্রিযাপন করায় এলাকার কয়েকজন যুবক এবং ওই নারীর স্বামী আকাশ তাদের ঘরে আটকে ফেলেন। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই নারী ও তার পরকীয়া প্রেমিক ইব্রাহিম আলীকে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক প্রদ্যুত কুমার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।মামলায় প্রকাশ্য স্থানে নারী-পুরুষ বেলাল্লাপনা বা অশ্লীল আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল ওহাব বলেন,এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর ঘর থেকে আরেক পুলিশ সদস্যকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়।পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।এরপর তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

আরও খবর

Sponsered content