অপরাধ-আইন-আদালত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের আপিলের শুনানি এবছর শেষ হবে-অ্যাটর্নি জেনারেল,এ এম আমিন উদ্দিন

  প্রতিনিধি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৩:১৭:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পার হলেও এ ঘটনায় করা হত্যা মামলা আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকলেও,বিস্ফোরক মামলাটি এখনও বিচারিক আদালতের গণ্ডিই পেরোয়নি।

দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা।সম্প্রতি সময় সংবাদকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ বছরই আপিল শুনানি শেষ করার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন,মামলার সারসংক্ষেপটা জমা দেয়ার জন্য আমরা ৩৩টা দরখাস্ত ফাইল করেছি,সেই ৩৩টা দরখাস্ত অনুসারে আদালতে আসবে,আসামিদের একটা সময় দেয়া হবে, নির্দিষ্টি সময় দেয়া হবে,সময়টা দিতেই হবে আপিলের।না দিলে তাদের আপিলটা ডিসমিস হবে।এ প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা আশা করছি,এই মামলাটা শুনানির জন্য উঠবে।আশা করছি, এ বছরই শুনানি করতে পারব।’

পিলখানা ট্র্যাজেডির ভয়াবহ নৃশংসতার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলার একসঙ্গে বিচার শুরু হয়। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট দু-জায়গাতেই হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে।এখন আপিল বিভাগে চূড়ান্ত আইনি লড়াইয়ের অপেক্ষা রয়েছে।তবে নিম্ন আদালতে ১৪ বছর ধরে ঝুলে আছে বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটি। ফলে হত্যা ও বিদ্রোহ মামলায় খালাস মিললেও,কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না দুই শতাধিক আসামি।

এ মামলায় আপিল শুনানির জন্য ফের বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত চূড়ান্ত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন,একই সঙ্গে করা দুটি মামলার একটি আপিলে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, অথচ অন্য মামলাটি ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।খুব সহজেই বোঝা যায়;রাষ্ট্রপক্ষের সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি আছে।উভয় মামলাই নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছি বহুবার,করে যাচ্ছি।সাংবাদিকদের মাধ্যমে অনুরোধ জানাতেই চাই,রাষ্ট্রপক্ষ যেন দুটি মামলাই দ্রুত নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেয়।’

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন জানান, ‘এবছর আপিল শুনানি শুরু করা হবে।আর আশা করছি, চলতি বছরই মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।১৩৯ জনের ফাঁসি বহালের পাশাপাশি যাদের সাজা কমানো হয়েছে,সে বিষয়েও শক্ত অবস্থান নেবে রাষ্ট্রপক্ষ।’

উল্লেখ,২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টা।প্রচণ্ড গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পিলখানার তৎকালীন বিডিআর বর্তমান বিজিবি সদর দফতরের দরবার হলসহ আশপাশের এলাকা।পিলখানা ছাপিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঢাকাসহ সারা দেশে।বিদ্রোহের নামে প্রথমেই তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদকে হত্যা করা হয়।

নৃশংস এ ঘটনায় করা দুই মামলায় আসামি রয়েছেন ৮৫০ জন।এছাড়া বাহিনীর নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলায় প্রায় ৬ হাজার জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪ বছর পূর্তি আজ।পিলখানা ট্র্যাজেডির এই দিনটিতে নিহতদের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিজিবি ও দেশবাসী।

আরও খবর

Sponsered content