সারাদেশ

পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের ইকোনমিতে অবদান রাখার-ভূমিমন্ত্রী,সাইফুজ্জামান চৌধুরী

  প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২৩ , ৬:১৪:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের ইকোনমিতে অবদান রাখার।সেখানে বিভিন্ন পর্যটন এলাকা রয়েছে যেখানে প্রচুর মানুষ যায় এবং প্রকৃতি উপভোগ করে। সুতরাং আমি বলতে চাই যে,অশান্তি সৃষ্টি করে এমন কাজে সময় নষ্ট না করে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যদি আমরা নজর দিতে পারি তাহলে দেশের অনেক উপকার হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজিএমইএর মাহবুব আলী মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ,বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি) উদ্বোধন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান সংকটের গতি, প্রকৃতি ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক আঞ্চলিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডায়ানামিকস অব অনগোয়িং ক্রাইসিস ইন চট্টগ্রাম হিল ট্রাক্টস অ্যান্ড ওয়েস ফরওয়ার্ড শীর্ষক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিসিআরএসবিডি সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ।

সিসিআরএসবিডির নির্বাহী পরিচালক চবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন ড. আবদুল্লাহ ফারুক।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত শোভারানী ত্রিপুরা,চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী,খাগড়াছড়ি মং সার্কেলের চিফের পরিবারের সদস্য রাজকুমার টুইন ইনপ্রু মারমা, এফবিসিসিআইর পরিচালক ডা. মুনাল মাহবুব, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব) মো. এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।

ভূমিমন্ত্রী বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম অবশ্যই আমাদের দেশের অংশ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেন।তাও তৃতীয় কোনো দেশ বা পক্ষ ছাড়া।

তিনি বলেন,চট্টগ্রাম বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী।আমাদের নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য আছে। অর্থনৈতিকভাবেও সবসময় দেশের বাকি নগর ও শহরগুলোর চেয়ে আমরা অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছি।এমন একটি সময় ছিল,রাজধানী ঢাকার চেয়েও আমরা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলাম। সময়ের ব্যবধানে আমাদের মধ্যে একটা গ্যাপ হয়ে গেছে। যে জায়গায় আমরা এসেছি এর চেয়ে ভালো জায়গায় আমরা অবশ্যই থাকতে পারতাম।তারপরেও একটি শহরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন।এরমধ্যে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর,পাঁচ তারকা হোটেল এবং ফ্লাইওভার,হাইওয়ে দরকার ছিল।আমি যখন ২০০৫-০৮ পর্যন্ত চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ছিলাম,অনেক বক্তব্য সেমিনার হয়েছে।অনেক সময় অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন করেছি।কিন্তু তখনকার বিএনপি সরকার সেভাবে করেনি।শুধু চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের কোথাও সেভাবে উন্নয়ন করেনি।

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন,আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।বেশি সময় ফেসবুকে নষ্ট করবেন না।ফেসবুক শুধু বাংলাদেশের জন্য খোলা হয়নি।ফেসবুক,ইউটিউব বিশ্বব্যাপী।ইউরোপ আমেরিকায় কতজন ফেসবুকে সারাক্ষণ থাকে। তারা টুকটাক লেখালেখি করে।আমাদের প্রাকটিক্যাল চিন্তা করে নিজের জীবন সামনে এগিয়ে নেওয়ার চিন্তা করলে বেশি মঙ্গল হবে।

আরও খবর

Sponsered content