আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা

  প্রতিনিধি ১০ মে ২০২৩ , ১:৫৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর দেশজুড়ে যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে,তার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত দুটি প্রদেশে সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে।পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা নামানো হচ্ছে।

সর্বশেষ দফা বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীরা লাহোরে এক সেনা অধিনায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।অন্যদিকে রাওয়ালপিন্ডিতে বিক্ষোভকারীরা সেনা সদর দফতরের প্রবেশ মুখ অবরোধ করেছে।

মঙ্গলবার রাত হতেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খন্ড লড়াই চলছে।

বুধবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইসলামাবাদের পুলিশ সদর দফতরের ভেতর এক বিশেষ আদালতে হাজির করা হয় এক দুর্নীতির মামলায়।স্থানীয় গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানাচ্ছে,সরকারি কৌসুলিরা ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

জিও টিভি জানায় ,আদালতে শুনানি চলার সময় ইমরান খানকে তার কৌঁসুলিদের সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয়।তবে রুদ্ধদ্বার আদালত কক্ষে অনুষ্ঠিত এই শুনানির বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়,পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকার এবং সামরিক কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে ঠিক করবে কত সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে।

এর আগে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠায়।এতে লাহোর,মুলতান,রাওয়ালপিন্ডি,ফয়সলাবাদ এবং অন্যান্য জেলা শহরে সেনা মোতায়েনের কথা বলা হয়।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেও সেনা ডাকা হয়েছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানান,পেশাওয়ারের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস বিক্ষোভ চলার সময় অন্তত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে,তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দাঙ্গাকারীদের ধরার চেষ্টা করছে।পুলিশ আরও জানিয়েছে,এ পর্যন্ত দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পাকিস্তানে গত কয়েক মাস ধরে একটানা রাজনৈতিক সংকট এবং চরম উত্তেজনার মধ্যে গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়।

সাবেক এই ক্রিকেটার অভিযোগ করেছিলেন যে একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তানের খুবই ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী অবশ্য পাল্টা জবাবে এর কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল।

আরও খবর

Sponsered content