- আরও
প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ , ২:৪৬:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন,লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানেও থামেনি ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলা।
বাইডেনের একথার পরই যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন জাহাজে বৃহস্পতিবার নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হুতিরা।
সর্বশেষ হামলায় হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন এমভি চেম রেঞ্জার জাহাজে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন।
হোয়াইট হাউজ বলেছে,মার্কিন বাহিনী লোহিত সাগরে ছোড়ার বেশ কিছু সংখ্যক হুতি ক্ষেপণাস্ত্র অপসারণ করেছে।
হুতিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা কাজ করছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়াশিংটন ডিসি-তে সাংবাদিকদের জো বাইডেন বলেন, “যদি বলেন, অভিযান হুতিদের হামলা বন্ধে কাজ করছে কি না, তাহলে বলব,না।তারা কি হামলা চালিয়ে যাবে? হ্যাঁ।”
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান তত্ত্বাবধানকারী ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ লোহিত সাগর লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হুতিদের দুটি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আত্মরক্ষার্থে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত করে সেগুলো ধ্বংস করেছে মার্কিন বাহিনী।
পেন্টাগনের উপ-প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না।আমরা হুতিদের সঙ্গে যুদ্ধ করছি না। আমরা প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
এমভি চেম রেঞ্জারে হুতিদের হামলার চেষ্টার বিষয়টি সেন্টকমও নিশ্চিত করেছে।কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্শাল দ্বীপে মার্কিন পতাকাবাহী জাহাজটিতে দুটি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।তবে সেগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
ইয়েমেনের সামরিক মুখপাত্র অবশ্য এর আগে এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন যে,জাহাজটিতে ‘সরাসরি আঘাত’ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র হুতি গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরও যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন জাহাজে হামলা করেছিল হুতি বিদ্রোহীরা।
ওদিকে,ইসরায়েল,যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া ‘দারুণ সম্মানের’ বলে অভিহিত করেছেন হুতিদের নেতা আব্দুল মালিক-আল হুতি।
বৃহস্পতিবার এক ভাষণে তিনি বলেন, “আমাদের প্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো ইয়েমেনের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং জনগণের ওপর সরাসরি আক্রমণ।”
গত নভেম্বরে লোহিতসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হামলা শুরু করেছিল হুতিরা।এর মধ্য দিয়ে তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জবাব দিচ্ছে বলে জানায়।এরপর থেকেই হুতিরা পণ্য পরিবহনে বিশ্বের ব্যস্ত রুট লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে যাওয়া-আসা করা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে।
এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য গত ১১ জানুয়ারি হুতিদের কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে।
