অপরাধ-আইন-আদালত

নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থ রিক্রুটিং এজেন্সি চিহ্নিতকরণে কাজ করবে-সরকার

  প্রতিনিধি ২ জুন ২০২৪ , ২:৫৯:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোয় ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান,গমনেচ্ছু কর্মীদের হয়রানিসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

একইসঙ্গে কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এমনটি জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
রোববার (০২ জুন) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান,তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হককে।আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এবং প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন,গত ৩১ মে পর্যন্ত বিএমইটি থেকে চার লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চার লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়ায় গিয়েছেন।

সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি।

গঠিত কমিটি কর্মানুমতি ও বিএমইটির ক্লিয়ারেন্স কার্ড পাওয়ার পরও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে না পারার কারণ চিহ্নিতকরণ,নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থ রিক্রুটিং এজেন্সি চিহ্নিতকরণে কাজ করবে। পাশাপাশি কেউ মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি-এমন অভিযোগ করলে তা আমলে কমিটি ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার বরাবরই আন্তরিক। পত্রিকায় জরুরি বিজ্ঞপ্তি বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।

সিন্ডিকেটের বিষয়ে তিনি বলেন,যে দেশ জনশক্তি নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে।তবে সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না।সরকার অনুমোদিত সব এজেন্সি যেন লোক পাঠাতে পারে,সরকার তা চায়।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শিগগিরই খোলার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন,বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন জানান,২৪ মের পর থেকে যাদের টিকিট ছিল,শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর বাইরে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

আরও খবর

Sponsered content