প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২৩ , ২:৪২:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি।।ওসি প্রদীপের প্রতিহিংসার শিকার কক্সবাজারের নিপীড়িত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছয়টি মিথ্যা মামলা এখনও প্রত্যাহার হয়নি।

ওসি প্রদীপের দায়ের করা সাজানো মামলায় টানা ১১ মাস পাঁচ দিন কারাভোগের পর জামিনে এসে প্রদীপ গংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত তার ফৌজদারি মামলাটিও রেকর্ড করেনি কর্তৃপক্ষ।এতে একদিকে নিজের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা,অপরদিকে মামলা-হামলায় জড়িতদের শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আমাদের সময় মিডিয়া গ্রুপের কক্সবাজারস্থ আবাসিক সম্পাদক, দৈনিক কক্সবাজার বাণী ও জনতার বাণী সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান।
সাংবাদিক ফরিদ অভিযোগ করেন,মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বছর দেড়েক আগে আবেদন করেছেন।আবেদন রিসিভ করলেও মামলাগুলো মিথ্যে প্রতীয়মান হবার পরও তা প্রত্যাহারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় হতাশা তিনি ও তার পরিবার।
নির্যাতনে তার চোখ ও শরীরের জখম হওয়ায় প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন।গত ছয় মাস চিকিৎসায় ভারতে অবস্থান করাকালে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যে মামলাগুলো আবারো ওয়ারেন্ট হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেছেন।এখন আবারও নতুন করে জামিন নিতে হচ্ছে।এসব করতে গিয়ে আর্থিক হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসার ব্যয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া সাংবাদিক ফরিদ।
তিনি বলেন,কারামুক্তির পর মামলাগুলো মিথ্যে বুঝতে পেরে তা আইনী প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহার বা চুড়ান্ত প্রতিবেদনে শেষ করা হবে বলে সরকারের সংশ্লিষ্ট অনেকেই কথা দিয়েছিলেন।কিন্তু কেউই কথা রাখেননি।এখন মনে করিয়ে দেয়ার পরও আমলে নিচ্ছেন না কেউ।তাই আমার নামে করা সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও এসব মামলা করতে জড়িতদের বিরুদ্ধে তার দায়েরকৃত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,বিচার বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ফরিদ বলেন,মাদক ও ঘুষের বিরুদ্ধে লিখেছি বলে প্রদীপ ও তার লালিত মাদক ব্যবসায়ায়ীরা পাষবিক নির্যাতন করেছে।
৬টি মিথ্যা মামলায় টানা ১১মাস কারাগারে রেখেছে।আমি বর্তমানে শারীরিক,মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয়ে আছি।এসব মামলা চালানোর আর্থিক সক্ষমতা নেই।তাই এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে বিনা অপরাধে আমার সাজা হতে পারে।
এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন,দুটি পন্থায় সাংবাদিক ফরিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে পারে। মন্ত্রণালয়ে ফরিদ যদি সেভাবে যোগাযোগ করতে পারে তবে এ পন্থা অবলম্বন করা যায়। অপরপন্থা হলো আদালত।এখানে মামলা নিষ্পত্তি করতে হলে সাক্ষী করানো দরকার।সাক্ষ্যে অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণ করাতে পারলে আদালত তা খারিজ করে দিবেন।সাক্ষী যোগাড় ও মিছিলে মিছিলে হাজির হলে এব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
আইনী নিয়মতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন না করে,গণমাধ্যমে বিবৃতি দিলে অলৌকিকভাবে এসব মামলা প্রত্যাহার অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন পিপি।

















