প্রতিনিধি ২১ জানুয়ারি ২০২৩ , ৩:৪৯:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি।।মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের জন্য শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভেদরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী নারী।
গত ১৪ জানুয়ারি বিকালে উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।সেই রাতেই চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
মারধরের শিকার মায়া নামের ওই নারীর বাড়ি নারায়নপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড পুটিয়া গ্রামে।তার স্বামীর নাম আহাম্মেদ আলী খান।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,মায়া তার মেয়ে হুমায়রা (২০) তার স্বামী রবিন খান একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইকরকান্দিতে বিয়ে দেন।সেই সুবাদে তিন মাস আগে মাতৃত্বকালীন কার্ডের জন্য নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন।কিন্তু চেয়ারম্যান তার মেয়ের এনআইডি নিয়েও কার্ড করে দেননি।পরবর্তীতে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের জন্য মেয়ের সঙ্গে চেয়ারম্যানের পরিষদে যান।তখন তার মেয়ের হাত থেকে এনআইডি কার্ড নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন ও ওই নারীকে মারধর করেন।মারধরের পর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন এবং তারপর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার মায়া বেগম জানান,চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মেম্বারের মাধ্যমে কার্ড করে দিবেন বলে ৩ হাজার টাকা দাবি করেন।সুদে ৩ হাজার টাকা নিয়ে মেম্বারের মাধ্যমে হুমায়রা ও আমি চেয়ারম্যানের পরিষদে গেলে হঠাৎ করেই আমাকে ও আমার মেয়েকে মারধর শুরু করে।মারধরের একপর্যায়ে আমার ব্লাউজ ছিঁড়ে যায়।আমরা গরিব মানুষ।আমি গরিব বলে চেয়ারম্যান আমাকে মারধর করতে পারে না।আমি বিচার চাইতে থানায় আসছি।
নারায়নপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা তরুণ মোড়ল জানান,আমাদের এলাকার মায়া বেগম ও তার মেয়ে হুমায়রাকে সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান তার পরিষদে মারধর করেছে।এটা খুব ন্যক্কারজনক কাজ।আমি এলাকাবাসী হিসেবে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মহিউদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলাম। তাই পরিষদে যেতে পারিনি।তবে শুনেছি মাতৃত্বকালীন ভাতা নিয়ে মায়া নামে এক নারীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের ঝগড়া হয়েছে।’
নারায়নপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের মোবাইলে বার বার ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন ও মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
ভেদরগঞ্জ থানার ওসি বাহালুল খান বাহার বলেন, ‘নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মায়া বেগম নামে এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।’

















