প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর ২০২২ , ১২:০৩:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।। ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের রাধানগর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার থেকে লেংটার মেলার নামে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আলমগীর হোসেনের শেল্ডারে কথিত মাজার কমিটির সভাপতি মজিবর ও তার সহযোগী আমজাদ প্রায় ২০০ মাদকের দোকান বসিয়েছে এই মেলা উপলক্ষ্যে।
লেংটার মেলা নামে বলা হলেও এটা মূলত সারাদেশের মাদকসেবীদের বিশেষ করে গাঁজাখোরদের একটি জাতীয় মেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এই মেলায় কমপক্ষে একশত মদ গাঁজা বিক্রি হবে বলে ওই দুই শতাধিক দোকানের মালিকরা সাংবাদিকদেরকে জানান।
বড় মাদকের দোকান থেকে এক লাখ টাকা ও ছোট মাদকের দোকান থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ছেলামি নিয়েছে ওরস কমিটির সভাপতি মজিবর ও তার সহযোগী আলমগীর মেম্বার ও আমজাদ।
এই তিনজন থানা পুলিশ ডিসি অফিস স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে টাকা দিয়ে থাকে বলে দাবি করে।এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুই শতাধিক দোকানে মাদক বিক্রি হলেও থানা পুলিশ কোন বাধা দিচ্ছে না।এমনকি বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশরা মেলার এই মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়নি।আমাদের সংবাদদাতা আরো জানান।
বক্তাবলি ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে প্রতি বছর হযরত শাহ্ সোলেমান লেংটা বাবার জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী ওরস মোবারকের আয়োজন করা হয়েছে।
এবার ১৯৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শাহ্ সোলেমান লেংটা বাবার নিজ বাড়িতে রাধানগর এলাকায় ওরস অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কিন্তু স্থানীয়দের থেকে অভিযোগ উঠেছে এখানে ওরশের নামে লেংটার বাড়ির পিছনে নদীর পাড়ে বিশাল মাদক ব্যবসা ও কেনা বেচার সাথে মাদক সেবনের বাজার বসে।এখানে প্রায় ২০০ দোকানে মাদক সেবন এবং কেনাবেচার রমনা বাণিজ্য চলে।
তবে মেলা বসার অনুমোদন নেওয়া থাকলেও মাদক বেচাকেনার কোন অনুমোদন নেই।দিব্যি যুবসমাজের ধ্বংসের এই মাদক প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলছে।
এলাকাবাসী জানায় স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন অলি আউলিয়াদের নামে ওরশ মোবারক পালিত হয়।
ধর্মের নামে তারা ল্যাংটার নাম দিয়ে এখানে মাদকের হাট খুলে বসেছে।প্রতিবছর এখানে ৫ দিনের মেলায় প্রায় কোটি টাকার মাদক বেচাকেনা চলে।এই ওরস কমিটি তার সিংহভাগ নিয়ে থাকেন।এই মাদকেরহাট থেকে কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে।
এছাড়াও গভীর রাত পর্যন্ত গান বাজনা চলে শেষ হয় ফজরের আযানের আগে।মেলার বাজার গুলোতে খন্ড খন্ড কিশোর গ্যাং গ্রুপ মিলে নারীদের উত্ত্যক্ত করে।
তাছাড়াও মারামারির ঘটনা তো প্রতি বছরে ঘটে।
স্থানীয় শাহীন জানান প্রতিবছর তারা ওরসের নামে মাদকের হাট খুলে বসেছে।এই মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে।বক্তাবলি রাধানগরে ল্যাংটার মেলার নামে ২শ দোকানে গাঁজা ফেনসিটিল বাংলা মদ বেচা কেনার জমজমাট আসর।পুলিশ নিরব।প্রতিদিন ২০ লাখ টাকার মাদক বেচাকেনা।
নারায়ণগঞ্জের এসপিও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। তবে মাদকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেই।ধর্মের অপব্যবহার করছে তারা।তাদের কারণে এই এলাকার যুব সমাজ আরো ধ্বংসের দিকে ঠেলে যাচ্ছে।তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।