অপরাধ-আইন-আদালত

ধর্ষক বড় মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছে-চেম্বার জজ আদালত

  প্রতিনিধি ১২ জুলাই ২০২৩ , ৫:০৩:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।

একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আগামী ২১ আগস্ট শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন।এছাড়া ওইদিন ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

ওইদিন ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী আদালতের আদেশের বিষয়টি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১২ জুলাই) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।আসামির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বড় মনিরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।পরে ওই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।সেটি শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

গত ১৫ মে ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসীন এ আদেশ দেন।তার পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই এবং জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।

গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে।মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা বলে প্রমাণ পেয়েছে মেডিকেল বোর্ড।মামলা হওয়ার পরদিন (৬ এপ্রিল) ওই কিশোরী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছন।

মামলায় ওই কিশোরী (১৭) অভিযোগ করেন,গোলাম কিবরিয়া তার পূর্বপরিচিত।গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে শহরের আদালত পাড়ায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ভবনে গোলাম কিবরিয়া ডেকে নেন।সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন ও আপত্তিকর ছবি তুলে রাখেন।পরে আপত্তিকর ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে ওই কিশোরী মামলায় অভিযোগ করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়,একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।বিষয়টি গোলাম কিবরিয়া জানার পর সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকেন।তবে কিশোরী রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ তাকে শহরের আদালত পাড়ায় গোলাম কিবরিয়ার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে একটি কক্ষে ওই কিশোরীকে গোলাম কিবরিয়া আবার ধর্ষণ করেন।পরে ওই কিশোরী সন্তানের জন্ম দেন।

আরও খবর

Sponsered content