সারাদেশ

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেললাইন সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধন করবেন-প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ৬ মে ২০২৩ , ৫:২৪:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি।।ট্রেনে করে পর্যটন নগর কক্সবাজারে যেতে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন রেললাইনের কাজ শেষে তা চালু হওয়ার কথা জানালেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর।

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেললাইন ওই মাসের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করতে পারেন বলে জানান তিনি।

শনিবার চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতু সংস্কার বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুতগতির ট্রেন চলাচলের জন্য ১৯৩১ সালে নির্মিত পুরনো এ রেল সেতু সংস্কার করা হচ্ছে জানিয়ে রেল সচিব বলেন,সেখানে নতুন একটি সেতুও নির্মাণ করা হবে;যেটির নকশা প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে অনুমোদন করেছেন।

বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে। সেখান থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ করছে সরকার।গত ডিসেম্বরে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

এ প্রকল্পের আওতায় ৩৯টি সেতু এবং ২৪২টি কালভার্ট করা হচ্ছে।বন্য হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।

রেল সচিব এদিন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফেরি সার্ভিস চালু সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন রেল সচিব।

তিনি বলেন,এ লাইন চালু হলে দেশের মানুষের ট্রেনে করে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।নতুন রেলপথ দিয়ে ১২০-১৩০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করবে। মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে যাবেন।

এ পথে দ্রুত গতিতে ট্রেন যেতে জুন থেকে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার শুরু হবে জানিয়ে সচিব হুমায়ুন বলেন,পুরো সেতুর সংস্কার করতে ছয় মাস লাগবে।তবে সেতুর মূল রেল লাইন অংশের কাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।এই তিন মাস চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

সংস্কারের সময়ে কর্ণফুলী নদীর এ অংশে ফেরি চলবে।সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে,সেতুর বিকল্প হিসেবে নদীতে ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য দুটি ফেরি রাখা হয়েছে।

সচিব জানান,সাময়িক অসুবিধা হলেও সংস্কার কাজ শেষ হয়ে গেলে ফেরি আর থাকবে না।কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেল সেতুর নকশাও চূড়ান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন,এখন চুক্তির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সবকিছু সম্পন্ন হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হবে৷আর ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।‘’

সভায় কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন পূর্ব রেলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা।

সভায় জানানো হয়,১৯৩১ সালে নির্মিত হয় কালুরঘাট রেল সেতু। ১৯৬২ সালে যান চলাচল শুরু হয়।সেতুর বর্তমান অবস্থা খারাপ৷এর আগে দুবার বড় সংস্কার করা হয়।এখন কক্সবাজারে ভারী ইঞ্জিনের ট্রেন যাবে।যে কারণে কালুরঘাট সেতু সংস্কার করতে হচ্ছে।বর্তমানে এই সেতুতে ট্রেনের গতি ১০ কিলোমিটার৷সংস্কারের পর তা ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার হবে।

প্রধান প্রকৌশলী জানান,বুয়েটের পরামর্শক দলের পরামর্শে সেতু সংস্কার করা হবে।ইতোমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।২০ জুন সংস্কার কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।সেপ্টেম্বরে মূল সংস্কার শেষ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content