শিক্ষা

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেহরাজ হোসেন ইমন প্রথম স্থান অধিকার করেন

  প্রতিনিধি ৯ জুলাই ২০২৩ , ৬:১৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।মেহরাজ হোসেন ইমনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজধানী ঢাকায়।তিনি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার গ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ইমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিষয়ে পড়তে চান।

প্রথম হওয়ার অনুভূতি;-অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হতে পারব,এটা আসলে ভাবিনি।

সফল হওয়ার পেছনে;-২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় আমার রেজাল্ট আশানুরূপ হয়নি।তখন আমাকে এবং আমার পরিবারকে মানুষের অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছিল।এসব ভেবে তখন খুব মন খারাপ হতো।তখন থেকেই একটা জেদ ভেতরে-ভেতরে কাজ করত।এরপর সিদ্ধান্ত নিই ভালো কিছু করতে হবে।আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ভর্তি হই। এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির শুরুতে টেক্সট বইগুলো পড়ে শেষ করে ফেলি।পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতির জন্য পড়াশোনা শুরু করি।এইচএসসি পরীক্ষার আগেই যেটুকু সম্ভব ভর্তি পরীক্ষার আলাদা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম, যা আমাকে পরে অনেক সহায়তা করেছে।

যাঁদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি;-পরিবার থেকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি।যখন যা প্রয়োজন ছিল,মা-বাবা কষ্ট হলেও সেটা দিয়েছেন।আমার বড় আপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।আপুকে দেখে একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম।এ ছাড়া আমার সব শিক্ষক পড়ালেখার বিষয়ে সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন।পাশাপাশি বন্ধুরাও অনেক সহযোগিতা করেছে।

কলেজ থেকেই প্রস্তুতির শুরু:-কলেজজীবনের শুরুতে সব টেক্সট বুক ভালোভাবে শেষ করতে হবে,যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত পড়াগুলো মনে থাকে।প্রয়োজন হলে একই জিনিস বারবার পড়তে হবে।এইচএসসির পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি শেষ হওয়ার পরেই শুধু ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে সেখানে কেমন প্রশ্ন হয়,সে-সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় নাকি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ:-এটা আসলে অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে।আমার পরিবার ঢাকায় থাকে।তাই পরিকল্পনা ছিল ঢাকাকেই প্রাধান্য দেব।তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হলেও ভালো বিষয় যেখানে পাব, সেখানেই যাব।পরিবার থেকে দূরে থাকলে আর্থিকভাবে অনেক বেশি চাপ পড়ে যায়।সে জন্য সবকিছু বিবেচনা করে নিজের এবং পরিবারের জন্য যেটা ভালো হয়,সেটাই করা উচিত।

সঠিক লক্ষ্য স্থির করা:-প্রথমেই লক্ষ্য স্থির করাটা জরুরি। তবে নিজের পক্ষে যতটুকু চাপ নেওয়া সম্ভব এবং কোনটার প্রস্তুতি নিলে কোথায় চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি,তা বিবেচনা করে প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম।

কোচিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ:-কোচিং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি জোরালো করতে সহযোগিতা করে।কোচিং সেন্টারগুলোতে যেহেতু অনেকের সঙ্গে ক্লাস করতে হয়,তাই একটা প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়।এতে অন্যদের থেকে ভালো করতে পড়ার ক্ষেত্রে আলাদা অনুপ্রেরণা দিতে পারে।তবে কোচিং পথ চলাটাকে সহজ করে দিলেও পড়ালেখা নিজেকেই করতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content