জাতীয়

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের একমাসেই প্রত্যাশার চেয়েও বেশি

  প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:৩৩:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের একমাস পূর্ণ হলো আজ।গত (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এরপর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টোল পরিশোধ করেন তিনি।তার বহরে থাকা ২৫টি গাড়ির জন্য দুই হাজার টাকা টোল পরিশোধ করে সূচনা করেন উড়াল মহাসড়ক যুগের।

প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আকতার বলেন, আমরা ভেবেছিলাম,এটি একটি পার্সিয়াল অপারেশন,এখানে এত সংখ্যায় গাড়ি চলাচল করবে না।কিন্তু আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সংখ্যায় গাড়ি চলাচল করছে।তিনি জানান, উদ্বোধনের পর থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিদিন গড়ে যান চলাচল করেছে ৩০ হাজার।একমাসে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ লাখে।আর গড়ে টোল আদায় হয়েছে ২৪ লাখ টাকা। এটি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি।

ঢাকাকে বাইপাস করে উত্তর-দক্ষিণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সহজতর করার জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এ পথে ভারী ট্রাক চলাচল করেছে খুবই কম। সংখ্যার হিসেবে একমাসে তা মাত্র ৪৯টি।চলাচল করা ৯৯ শতাংশ গাড়িই ব্যক্তিগত বা ছোট যানবাহন।

প্রকল্প পরিচালক বলেন,আগামী বছরের জুনে চিটাগাং রোড কুতুবখালী অংশ পর্যন্ত পুরোটা চালু করা গেলে যান চলাচল কয়েকগুণ বাড়বে।পাশাপাশি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যদি কাওলা প্রান্তে যোগ হয়,তাহলে উত্তরবঙ্গের গাড়ি ও ইপিজেডের ট্রাকগুলো ঢাকাকে বাইপাস করে চলে যাবে।সেক্ষেত্রে এ প্রকল্পের পুরো সুবিধা পাওয়া যাবে।যেহেতু আংশিক উদ্বোধন হয়েছে,সেহেতু ঢাকাবাসী এর আংশিক সুবিধা পাচ্ছে।

বর্তমানে এক্সপ্রেসওয়ে টোল আদায় কার্যক্রম চলছে ম্যানুয়ালি। ফলে অফিস আওয়ারে টোল প্লাজায় দেখা যায় কিছুটা ধীরগতি।তাই দ্রুত টোল আদায় করতে ইলেকট্রিক টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।তিনি বলেন,আমরা এটি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা ইলেকট্রনিক টোল শুরু করবো।

আরও খবর

Sponsered content