রাজনীতি

ড. ইউনূসকে বাঁচাতে তার বিদেশি বন্ধুরা এবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে বিজ্ঞাপন আকারে খোলা চিঠি ছাপিয়েছেন

  প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:২২:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচতে আবারও পুরানো কৌশল বেছে নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।ড. ইউনূসকে বাঁচাতে তার বিদেশি বন্ধুরা এবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে বিজ্ঞাপন আকারে খোলা চিঠি ছাপিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,এর জন্য বড় অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়েছে ড. ইউনূসকে।

এরআগে মামলা থেকে বাঁচতে একই কায়দায় ওয়াশিংটন পোস্টে বিশ্বের ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাক্ষরিত প্রায় ৮০ লাখ টাকা খরচ করে খোলা চিঠির নামে বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছিল।

শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচতে আবারও পুরানো কৌশল বেছে নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূসকে বাঁচাতে তার বিদেশি বন্ধুরা এবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে বিজ্ঞাপন আকারে খোলা চিঠি ছাপিয়েছেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর জন্য বড় অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়েছে ড. ইউনূসকে।

এরআগে মামলা থেকে বাঁচতে একই কায়দায় ওয়াশিংটন পোস্টে বিশ্বের ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাক্ষরিত প্রায় ৮০ লাখ টাকা খরচ করে খোলা চিঠির নামে বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছিল।

এদিকে ওই নিউজের বিষয়ে দৈনিক মানবজমিনে একটি খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর ও তার লিংক নিজের ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করেন ড. ইউনূস।ওই পোস্টের নিচে তাকে নিয়ে উন্মুক্ত সমালোচনা করেন ব্যবহারকারীরা।

গণমাধ্যমের তথ্যমতে,গত ৩১ আগস্ট নিউ ইয়র্ক টাইমসের আন্তর্জাতিক সংস্করণের পঞ্চম পৃষ্ঠার পুরোটাজুড়ে খোলা চিঠিটি ছাপানো হয়।

শতাধিক নোবেলজয়ী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ ১৭৬ জনের নামোল্লেখ করা ওই চিঠিতে দেশের বিদ্যমান আইনে ড. ইউনূসের বিচার না করে,বিশেষ ব্যবস্থায় তার বিচারের দাবি জানানো হয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ইউনূসকে মামলার নামে হয়রানি না করারও আহ্বান জানানো হয়।

তবে এ ধরনের চিঠিকে বাংলাদেশের আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত হিসেবে দেখছেন আইনজীবী এবং বিশ্লেষকরা।তারা বিচার বন্ধের আহ্বানের বিষয়টিকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি একজন মানুষ বিভিন্ন ভালো কাজ করলেও কোনো ধরনের অবৈধ কাজ করতে পারেন না,এমনটা দাবি করাকেও হাস্যকর বলে মনে করেন তারা।

খোলা চিঠিতে যা আছে——-

খোলা চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি যে হুমকি দেখা গেছে,তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।আমরা বিশ্বাস করি,আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং নির্বাচনকালীন প্রশাসন দেশের প্রথম সারির দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।বিগত দুটি নির্বাচনে বৈধতার ঘাটতি রয়েছে।’

‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবাধিকারের প্রতি যেসব হুমকি রয়েছে,তার মধ্যে একটি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। সেটি হলো,শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা।আমরা এ কারণে শঙ্কিত যে সম্প্রতি তাকে নিশানা করা হয়েছে।এর মধ্যদিয়ে তিনি ধারাবাহিক বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে আমরা মনে করি। তার নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ৪০ জন বিশ্বনেতা আপনার কাছে যে চিঠি লিখেছিলেন,তার ওপর ভিত্তি করেই এই চিঠি লেখা হয়েছে।’

আমরা সম্মানের সঙ্গে আপনার প্রতি অবিলম্বে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানাচ্ছি।এরপর একটি নিরপেক্ষ বিচারক প্যানেলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে,সেগুলো পর্যালোচনা করা হোক।ওই বিচারিক প্যানেলে আন্তর্জাতিকভাবে আইনবিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃত ব্যক্তিরা ভূমিকা রাখবেন। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা চলছে, সেগুলো পর্যালোচনা করলে তার দোষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

চিঠিতে তারা আরও বলেন,আমরা আশা করি,আপনি এসব আইনগত বিষয়ের যথাযথ,নিরপেক্ষ ও ন্যায্যতা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবেন।পাশাপাশি একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করবেন।একই সঙ্গে সব ধরনের মানবাধিকার রক্ষার প্রতি সম্মান দেখানো নিশ্চিত করবেন।আগামী দিনগুলোতে এসব বিষয়ের সুরাহা কীভাবে হবে,তা দেখার জন্য বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ নজর রাখছে।আমরাও সেই সব মানুষের কাতারে রয়েছি।’

নিউইয়র্ক টাইমসে ড. ইউনূসের পক্ষে দেয়া খোলা চিঠি বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ হয় গত ৩১ আগস্ট।

খোলা চিঠিতে যত খরচ:——গত ৭ মার্চ ওয়াশিংটন পোস্টের সাত নম্বর পৃষ্ঠায় ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে ড. ইউনূসকে হয়রানি না করতে খোলা চিঠি ছাপানো হয়। ওই পৃষ্ঠায় সাড়ে ১৮ ইঞ্চি,পাঁচ কলামে চিঠিটি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞাপনের আকার ছিল সাড়ে ৯০ কলাম ইঞ্চি।ওই পৃষ্ঠায় মোট ছয় কলামের মধ্যে এক কলাম নিউজ ছিল।আর নিচের দিকে অন্য একটি বিজ্ঞাপন ছিল আড়াই ইঞ্চির।

হিসাব করে দেখা গেছে,২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির রেট অনুসারে বিজ্ঞাপনে খরচ পড়েছে ৫২ হাজার ১২৮ মার্কিন ডলার।টাকার হিসাবে যা দাঁড়ায় ৫৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৯৬ টাকা।কিন্তু গেল দুই বছরে সবকিছুর খরচ বেড়েছে।যে কারণে পত্রিকার বিজ্ঞাপন রেটও বেড়েছে।অনলাইনে পাওয়া তথ্যানুসারে বর্তমানে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতি কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপনের রেট ৮০৭ ডলার।সে হিসাবে ইউনূসের এই বিজ্ঞাপনে খরচ পড়েছে ৭৩ হাজার ৩৩ ডলার।ডলারের দাম ১০৭ টাকা ধরে টাকায় যার মূল্য দাঁড়ায় ৭৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৪ টাকা।

সে অনুযায়ী নিউ ইয়র্ক টাইমসের পুরো পৃষ্ঠাজুড়ে ছাপানো খোলা চিঠিতে বড় অঙ্কের লেনদেন হতে পারে,যার আকার কয়েক কোটি বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূসের বন্ধুরা বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধ করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।

ফেসবুক ব্যবহারকারীরা যা বলছেন:—-;;;;এদিকে ড. ইউনূসের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা খোলা চিঠির খবর এবং লিংকের নিচে ব্যবহারকারীরা তার কঠোর সমালোচনা করে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

আরএইচ রাসেল মাদবর নামের এক ব্যবহারকারী অন্যজনের একটি লেখা উদ্ধত করে লিখেছেন,আমার মনে কিছু প্রশ্ন আছে,যার উত্তর আমি খুঁজে পাই না।যেমন- ড. ইউনূস কেন সাভার স্মৃতিসৌধে যান না;কেন তিনি শহীদ মিনারে যান না;কেন তিনি পহেলা বৈশাখ স্পর্শ করেন না;কেন তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেন না; কেন তিনি ১৫ আগস্ট বাঙালির সংস্কৃতির অংশ হিসেবে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে যান না; কেন তিনি ১৬ ডিসেম্বর ধারণ করেন না; কেন তিনি ৭ মার্চ ধারণ করেন না; ১৭ আগস্ট ২০০৫-এ জঙ্গিরা যখন সারাদেশে বোমাবাজি করলো,কেন তিনি তখন কিছুই বললেননি; ২১ আগস্ট যখন শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা হলো- তখনও তিনি কেন কিছুই বললেননি; কেন তিনি এদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন না (তিনি নাকি শান্তিতে নোবেলপ্রাপ্ত বাঙালি মানুষ)।’

হারুন অর রশীদ তিতু নামের একজন লিখেছেন,আপনার জন্য বিশ্বের দরবারে আমাদের মাথা নিচু হয়েছে,আপনি এ দেশের কলঙ্ক।ধিক্কার আপনার নোবেল জয়কে।আগে দেশকে ভালোবাসা শিখুন,বিদেশিদের নয়।’

ইকরামুল হক রাকিব নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের কাছে আপনি একজন ঘৃণিত ব্যক্তি। বাংলাদেশের কোনো বিপদে জনগণের বন্ধু হিসেবে আপনাকে জনগণ পায়নি।’

মনজুর আলম নামের একজন কমেন্ট করেছেন,আপনি শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেলেন,মেনে নিলাম।কী জন্য পেলেন,সেটা এখনো বুঝে আসেনি।আপনি একজন মহান ব্যক্তি,সেটা বিশ্ব দরবারে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে,সেটাও মেনে নিলাম।কিন্তু আপনি একজন স্বার্থবাদী মানুষ,আপনি সেটা প্রমাণ দিয়েছেন।নিজের ধনসম্পদ উপার্জন ছাড়া দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আপনি কী উপকারটা করেছেন,আপনি কী তা বলতে পারবেন?আপনি একদিন পৃথিবীতে থাকবেন না কিন্তু একজন বাংলাদেশি হিসেবে আপনার নাম যখন আসবে, তখন আপনার নাম শুনলেই মানুষ ধিক্কার জানাবে।এক কথায় আপনি হয়তো ইতিহাসের পাতায় থাকবেন,কিন্তু মানুষের মনের গহীনে কখনো থাকবেন না।’

খোলা চিঠিকে যেভাবে দেখা হচ্ছে——-সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ বদরুল আহসান তার এক লেখায় উল্লেখ করেছেন,কিন্তু যে বিষয়টি উদ্বেগের তা হলো, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির ভাষা ও তাদের দাবি।তারা অবিলম্বে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন।এই দাবি শুধু মর্মান্তিকই নয়,আপত্তিকরও বটে। যেকোনো আইনি প্রক্রিয়া এবং এর রায় নিয়ে যেকোনো ব্যক্তিরই আশঙ্কা থাকতে পারে,কিন্তু একটি মামলার চূড়ান্ত রায় দেয়ার কেউ সিদ্ধান্তে আসতে পারে না।’

তিনি সরকারের কাছে একটি মামলার আইনি প্রক্রিয়া বাদ দেয়ার আহ্বানের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

তিনি লেখায় উল্লেখ করেন,অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যাবে না জানিয়ে তাকে খালাস দেয়ার কথা জানিয়েছেন ওই বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তারা কীভাবে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তাও আশ্চর্যের বিষয়।এখানে আরেকটি বড় প্রশ্ন সামনে আসে,সেটি হলো- একটি দেশের সরকারপ্রধানকে একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া স্থগিত করা এবং তার বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা বাতিল করার অনুরোধ জানানো কতটা নৈতিক।বরং তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোয় ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানাতে পারতেন।’

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিউ ইয়র্ক টাইমসে ছাপানো খোলা চিঠির খবর ও লিঙ্ক শেয়ার করেছেন ড. ইউনূস।

ড. ইউনূস ইস্যুতে খোলা চিঠি প্রত্যাহার চান সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্যরাও।কয়েকজন নোবেল বিজয়ী,রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সদস্যের খোলা চিঠিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫০ জন সম্পাদক যৌথ বিবৃতিতে খোলা চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন,প্রধানমন্ত্রীকে লেখা খোলা চিঠি সার্বভৌম দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ।আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।এ ধরনের বিবৃতি বা খোলা চিঠি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সংক্রান্ত বিধানাবলীর সম্পূর্ণ পরিপন্থি বলেও দাবি করেন সম্পাদকরা।

এর আগে,দানকর ফাঁকির মামলা নিয়েও গড়িমসি করেন ড. ইউনূস।এ আদালত,সে আদালত ঘুরে তিনি সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেন।সর্বশেষ ২৩ জুলাই সর্বোচ্চ আদালত বলেন,প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার কর তাকে পরিশোধ করতেই হবে। দুদিন পরই বকেয়া দানকর হিসেবে ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ৬০৮ টাকা পরিশোধ করেন ইউনূস।

সর্বশেষ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকের টাকা পাচারের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। ২১ কোটি টাকারও বেশি পাওনার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ শ্রমিকের করা এ মামলায় তার বিরুদ্ধে সমনও জারি করেছেন আদালত।এছাড়া ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের তদন্ত চলছে।

এছাড়া ১/১১ সেনাসমর্থিত সরকারের সময় প্রধান দুই দলের নেত্রীকে মাইনাস করে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস।সে সময় গ্রামীণ পার্টি নামে একটি দল করারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বাতিলের নেপথ্যে ঘুরেফিরে এসেছে তার নাম।

আরও খবর

Sponsered content